ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার শেরপুরে তুচ্ছ ঘনায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৫ পার্বতীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ আলুর কোল্ড স্টোরেজ নওগাঁয় প্রায় ১কেজি গাঁজা ও ২৪০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ আটক-৪ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের অপেক্ষায় এলাকাবাসী কালুখালি আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন রিয়াজুল ইসলাম মুরাদনগরে মানবপাচার ও পতিতাবৃওির অভিযোগে গ্রেফতার ৬ জন গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরই মুক্ত বায়রার ফখরুল ধর্মপাশা প্রেসক্লাবের দুই বছর মেয়াদি নতুন কমিটি গঠিত আওয়ামীপন্থি সিবিএ নেতাদের পুনর্বাসনকেন্দ্র যমুনা অয়েল নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে : খন্দকার মোশাররফ

স্থায়ী ঠিকানায় জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চায় যোগেশ দাস

হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২নং বদলপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গোপের হাটির ৮৫ বছরের বৃদ্ধ যোগেশ দাস। এই বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রী রাধারাণী দাস ৭৫ কে নিয়ে একরকম চলছে তার দিনকাল। সন্তান হীন এই দম্পতি কখনো ভাইয়ের ছেলেদের আশ্রয় আবার কখনো পরিচিত দূ: সম্পর্কের আত্মীয়দের আশ্রয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সারাটি জীবন।

নিজের বলতে কোন কিছু নেই। সরকারি ভাবে ১০ টাকা কেজির চাল (ন্যায্যমূল্য) এইটুকু সহায়তা ই পান।বার্ধক্যজনিত কারনে নেই যোগেশ দাসের কোন আয় রোজগারের ব্যবস্তা।স্থানীয় মানবিক কিছু সংগঠনের এান সহায়তা, বাতিজা ও দূ: সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনের দেওয়া খাদ্য সামগ্রী নিয়েই কাটছে তাদের জীবনের শেষ মূহুর্তগুলি।

যোগেশ দাসের সাথে সরাসরি আলাপে সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিগত তিন দশক ধরে তার ও তার সহধর্মিণী রাধারাণী দাসের জীবন যুদ্ধের বিভিন্ন করুন কাহিনি। আলাপকালে তিনি বলেন সরকার আসে সরকার যায়, ওয়ার্ড পর্যায়ে জন প্রতিনিধি (মেম্বার) কয়েকবার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি তার জীবন সংগ্রাম।সামান্য খাদ্য ও স্থানী একটি ঠিকানার জন্য আজকে তিন দশক ধরে চেষ্টা করে ও পায়নি কোন ফলাফল।

তিন দশকে এই শুধু মাএ নায্য মূল্যের ১০ টাকা কেজি চাল ছাড়া কিছুই জুটেনি তার কপালে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে তার কোন কিছু চাওয়ার আছে কি না জানতে চাইলে, কান্না জড়িত কন্ঠে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ যোগেশ দাস বলেন, হুনছি হাসিনা সরকার নাকি ভিটামাটিহীনদের কে জমি সহ ঘর দিতাছে।আপনারা যদি আমারে একটা ঘরের ব্যবস্থা, আর বয়স্ক ভাতা পাওয়া এবং স্থায়ী একটা ঠিকানা করে দিতে পারেন তাহলে জীবনের শেষ দিনগুলো আমরা স্বামী,স্ত্রী কাটিয়ে স্বস্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারতাম।

যোগেশ দাসের ব্যাপারে জানিয়ে ২নং বদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে তাদের যে কোন এক জনের আইডি কার্ড সংগ্রহ করে আপাতত বয়স্ক ভাতার ব্যবস্তা করে দিবেন। জায়গাজনিত কারনে আপাতত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর হচ্ছে না বদলপুর ইউনিয়নে।পরবর্তী ধাপে ঘর বরাদ্দ পেলে যোগেশ দাস দম্পতির স্থায়ী একটা ঠিকানার ব্যবস্তা করবেন বলে জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ার শেরপুরে তুচ্ছ ঘনায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৫

স্থায়ী ঠিকানায় জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চায় যোগেশ দাস

আপডেট সময় ১২:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২নং বদলপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গোপের হাটির ৮৫ বছরের বৃদ্ধ যোগেশ দাস। এই বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রী রাধারাণী দাস ৭৫ কে নিয়ে একরকম চলছে তার দিনকাল। সন্তান হীন এই দম্পতি কখনো ভাইয়ের ছেলেদের আশ্রয় আবার কখনো পরিচিত দূ: সম্পর্কের আত্মীয়দের আশ্রয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সারাটি জীবন।

নিজের বলতে কোন কিছু নেই। সরকারি ভাবে ১০ টাকা কেজির চাল (ন্যায্যমূল্য) এইটুকু সহায়তা ই পান।বার্ধক্যজনিত কারনে নেই যোগেশ দাসের কোন আয় রোজগারের ব্যবস্তা।স্থানীয় মানবিক কিছু সংগঠনের এান সহায়তা, বাতিজা ও দূ: সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনের দেওয়া খাদ্য সামগ্রী নিয়েই কাটছে তাদের জীবনের শেষ মূহুর্তগুলি।

যোগেশ দাসের সাথে সরাসরি আলাপে সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিগত তিন দশক ধরে তার ও তার সহধর্মিণী রাধারাণী দাসের জীবন যুদ্ধের বিভিন্ন করুন কাহিনি। আলাপকালে তিনি বলেন সরকার আসে সরকার যায়, ওয়ার্ড পর্যায়ে জন প্রতিনিধি (মেম্বার) কয়েকবার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি তার জীবন সংগ্রাম।সামান্য খাদ্য ও স্থানী একটি ঠিকানার জন্য আজকে তিন দশক ধরে চেষ্টা করে ও পায়নি কোন ফলাফল।

তিন দশকে এই শুধু মাএ নায্য মূল্যের ১০ টাকা কেজি চাল ছাড়া কিছুই জুটেনি তার কপালে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে তার কোন কিছু চাওয়ার আছে কি না জানতে চাইলে, কান্না জড়িত কন্ঠে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ যোগেশ দাস বলেন, হুনছি হাসিনা সরকার নাকি ভিটামাটিহীনদের কে জমি সহ ঘর দিতাছে।আপনারা যদি আমারে একটা ঘরের ব্যবস্থা, আর বয়স্ক ভাতা পাওয়া এবং স্থায়ী একটা ঠিকানা করে দিতে পারেন তাহলে জীবনের শেষ দিনগুলো আমরা স্বামী,স্ত্রী কাটিয়ে স্বস্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারতাম।

যোগেশ দাসের ব্যাপারে জানিয়ে ২নং বদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে তাদের যে কোন এক জনের আইডি কার্ড সংগ্রহ করে আপাতত বয়স্ক ভাতার ব্যবস্তা করে দিবেন। জায়গাজনিত কারনে আপাতত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর হচ্ছে না বদলপুর ইউনিয়নে।পরবর্তী ধাপে ঘর বরাদ্দ পেলে যোগেশ দাস দম্পতির স্থায়ী একটা ঠিকানার ব্যবস্তা করবেন বলে জানান।