ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যেই ভারতে ছড়াচ্ছে আরএস ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে চার দিনের সদ্যোজাত থেকে ২ বছরের শিশুরা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যেই ভারতে বেশকিছু শিশুর শরীরে বাসা বেঁধেছে এই ভাইরাস। পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অব চাইল্ড হেলথ সূত্রে খবর, গত দুই মাসে সেখানে চিকিৎসা হয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত ৫০টি শিশুর।
ফহালকা জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, হাঁচি, মাথার যন্ত্রণা, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে সংক্রমণ এই রোগের উপসর্গ। ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ পরে নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কিওলাইটিসের দিকে মোড় নেয়। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।
চিকিৎসকরা বলছেন, অক্টোবরের শুরু থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু বিভাগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আসছে শিশুরা। লাগছে ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ। ভারতের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রভাসপ্রসূন গিরি বলেন, এই ভাইরাস বড় আকার নিয়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে রোগী আসছে। অক্টোবর মাস থেকে আসছে। খুব খারাপ অবস্থায় শিশু আসছে। রীতি মতো আউটব্রেক চলছে।
এই ভাইরাস চিহ্নিত করার পরীক্ষা ব্যয়বহুল। সূত্রের খবর, ভারতীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা ল্যাবে পরীক্ষা করতে খরচ পড়ে ২০-২৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ রোগের নমুনা আসছে কলকাতায়। নাইসেড সূত্রে খবর, গত দেড় মাসে বেশ কিছু নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অব চাইল্ড হেলথ সূত্রে খবর, সেখানে অক্টোবরে ১১টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ৬টি।
গত বছর এই সময়ে উত্তরবঙ্গে ধরা পড়েছিল আরএস ভাইরাসের সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের স্বাস্থ্য ভবন থেকে টিম গিয়েছিল উত্তরবঙ্গে। গঠন করা হয়েছি এক্সপার্ট কমিটি। বছর ঘুরতে না ঘুরতে কলকাতায় ফের প্রকোপ বাড়ছে আরএস ভাইরাসের। যদিও স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, তিনি এমন কিছু শোনেননি।