সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তির এক মাস পর কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় নোঙর করেছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। কুতুবদিয়ায় দুই দিন পণ্য খালাস শেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ভেড়ার কথা রয়েছে। সেখানে জাহাজের বাকি পণ্য খালাস করা হবে।
জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় লাইটার জাহাজ ‘জাহাজ মনি-৩’ ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওনা করেছে। জাহাজটি পৌঁছাবে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে (এনসিটি)-১ এ। সেখানে নাবিকদের বরণ করতে অপেক্ষা করছেন তাদের স্বজনরা।
এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা করে। ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে।
মুক্তিপণের বিনিময়ে এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পান এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিক। মুক্তির পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। এতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয়।