ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শপথ নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত আবারো চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল

কানে শোনার সমস্যায় বেশি ভুগছেন ট্রাফিক পুলিশ-রিকশাচালক

দেশে শব্দদূষণের মাত্রা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেশা বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি কানে শোনার সমস্যায় ভুগছেন রিকশাচালকরা, যা শতকরা বিবেচনায় ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের অবস্থান, যা শতকরা বিবেচনায় ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

dhakapost

গবেষণা দেখা গেছে, সিটি কর্পোরেশন বিবেচনায় কানে শোনার সমস্যা সবচেয়ে বেশি ছিল কুমিল্লায়, ৫৫ শতাংশ। এরপরের অবস্থান সিলেটের, ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থান ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের, ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং রাজশাহীতে ১৩ দশমিক ৯ রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীকে কানে কম শোনার সমস্যায় ভুগতে দেখা গেছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উচ্চমাত্রার শব্দদূষণ কানে কম শোনা থেকে শুরু করে স্থায়ী বধিরতা তৈরি করতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৪৩২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কানে শোনার সমস্যায় ভুগছেন, যাদের চিকিৎসার পাশাপাশি হেয়ারিং এইড ব্যবহার করা প্রয়োজন। এদের ৮০ শতাংশই উন্নয়নশীল দেশে বসবাস করে এবং এর অর্ধেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা এড়ানো যেত। শব্দদূষণে তৈরি কানে কম শোনার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে পেশাগত কারণে শব্দ দূষণের সংস্পর্শে আসা।

গবেষণার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজপথে শব্দদূষণের মাত্রা নির্ণয় এবং রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীদের শ্রবণশক্তির ওপর সেই শব্দদূষণের প্রভাব নির্ণয় করা।

গবেষণা পদ্ধতি প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশনে (ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন) শব্দদূষণের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে এবং এ সব সিটি কর্পোরেশনের রাজপথে কর্মরত ৬৪৭ জন পেশাজীবীর (ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্ট, বাস চালক ও হেলপার, পিক-আপ চালক, সিএনজি চালক, লেগুনা চালক, দোকানদার, মোটরবাইক চালক, রিকশাচালক এবং সেডান/এসইউভি চালক) শ্রবণশক্তি পরিমাপ করা হয়েছে।

সুপারিশে বলা হয়, রাজপথে শব্দদূষণের উৎস চিহ্নিত করা এবং মাত্রা কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীদের কর্মঘণ্টা কমানো একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। যেখানে প্রয়োজন, সেখানে উপযুক্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে। রিকশাচালক ও ট্রাফিক পুলিশের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।

আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত শ্রবণশক্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত। আচরণগত পরিবর্তন আনার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা উচিত। শব্দদূষণ কমাতে আইন তৈরি করা উচিৎ এবং তা কঠোরভাবে বজায় রাখা উচিত। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে দেশব্যাপী বড় আকারে গবেষণা করা প্রয়োজন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শপথ নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

কানে শোনার সমস্যায় বেশি ভুগছেন ট্রাফিক পুলিশ-রিকশাচালক

আপডেট সময় ০৩:২৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

দেশে শব্দদূষণের মাত্রা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেশা বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি কানে শোনার সমস্যায় ভুগছেন রিকশাচালকরা, যা শতকরা বিবেচনায় ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের অবস্থান, যা শতকরা বিবেচনায় ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

dhakapost

গবেষণা দেখা গেছে, সিটি কর্পোরেশন বিবেচনায় কানে শোনার সমস্যা সবচেয়ে বেশি ছিল কুমিল্লায়, ৫৫ শতাংশ। এরপরের অবস্থান সিলেটের, ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থান ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের, ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং রাজশাহীতে ১৩ দশমিক ৯ রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীকে কানে কম শোনার সমস্যায় ভুগতে দেখা গেছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উচ্চমাত্রার শব্দদূষণ কানে কম শোনা থেকে শুরু করে স্থায়ী বধিরতা তৈরি করতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৪৩২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কানে শোনার সমস্যায় ভুগছেন, যাদের চিকিৎসার পাশাপাশি হেয়ারিং এইড ব্যবহার করা প্রয়োজন। এদের ৮০ শতাংশই উন্নয়নশীল দেশে বসবাস করে এবং এর অর্ধেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা এড়ানো যেত। শব্দদূষণে তৈরি কানে কম শোনার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে পেশাগত কারণে শব্দ দূষণের সংস্পর্শে আসা।

গবেষণার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজপথে শব্দদূষণের মাত্রা নির্ণয় এবং রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীদের শ্রবণশক্তির ওপর সেই শব্দদূষণের প্রভাব নির্ণয় করা।

গবেষণা পদ্ধতি প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশনে (ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন) শব্দদূষণের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে এবং এ সব সিটি কর্পোরেশনের রাজপথে কর্মরত ৬৪৭ জন পেশাজীবীর (ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্ট, বাস চালক ও হেলপার, পিক-আপ চালক, সিএনজি চালক, লেগুনা চালক, দোকানদার, মোটরবাইক চালক, রিকশাচালক এবং সেডান/এসইউভি চালক) শ্রবণশক্তি পরিমাপ করা হয়েছে।

সুপারিশে বলা হয়, রাজপথে শব্দদূষণের উৎস চিহ্নিত করা এবং মাত্রা কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীদের কর্মঘণ্টা কমানো একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। যেখানে প্রয়োজন, সেখানে উপযুক্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে। রিকশাচালক ও ট্রাফিক পুলিশের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।

আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত শ্রবণশক্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত। আচরণগত পরিবর্তন আনার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা উচিত। শব্দদূষণ কমাতে আইন তৈরি করা উচিৎ এবং তা কঠোরভাবে বজায় রাখা উচিত। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে দেশব্যাপী বড় আকারে গবেষণা করা প্রয়োজন।