বোরহানউদ্দিন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ৯ নং ওয়ার্ডে হাকিমুদ্দিন বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একই পরিবারের তিন জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন কাচিয়া হাকিমুদ্দিন বাড়ির বাসিন্দা রশিদের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০), তাঁর ভাই নাসির আহাম্মেদ স্ত্রী রহিম জান বেগম (৪৫), তাদেরই আরেক ভাই রতন এর স্ত্রী হাজেরা বেগমকে (৩৫), আহত হাজেরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিএাং তাণ্ডবে আমাদের বাড়ির অনেক গাছ ঝড়ের কবলে পড়ে ভেঙ্গে যায়।
এই গাছ গুলো নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে।দ্বন্দ্ব বাধার এক পর্যায়ে এই বিষয় নিয়ে মামলা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আমাদের উভয় পক্ষের জন্য কোর্ট থেকে একটি আদেশ আসে,যাতে আমরা কেউ গাছ না কাটি স্থগিত রাখি। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইলিয়াস গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
এতে তারা রহিমা বেগম এর ওপর উত্তেজিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালান।রহিমা বেগমকে, ইলিয়াস ও তার স্ত্রী এসে রহিমা বেগমক এলোপাতাড়ি মারধর করলে, চিৎকার শুনে বাঁচাতে তার জা রহিম জান ও হাজেরা ছুটে আসে। এ সময় মফিজল হোসেন, রহিম জান কে ধারালো কিছু দিয়ে মাথায় ও চোখে আঘাত করেন। ইলিয়াস, মনির, মফিজ হোসেন,হৃদয়, মোফাজ্জল হোসেন, হাফিজা, খালেদা, মরিয়ম সবাই আমাদেরকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম করে।
চিকিৎসকেরা রহিম জানের মাথায় ৪টি সেলাই দিয়েছেন। রহিম জানকে বাঁচাতে গেলে ইলিয়াস গংরা তাঁদের ওপরও হামলা করেন। তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইলিয়াস (৪০) গণমাধ্যমকর্মীদের কে বলেন ‘আমরা তাঁদের ওপর আগে হামলা করিনি। তাঁরাই আমাদের ওপর আগে হামলা করেছেন।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।