ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

শেখ হাসিনার বিপক্ষে দাঁড়ালেও মাঠে নেই ৫ প্রার্থীর কেউ-ই!

আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে পরিচিত গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে লড়ছেন ৫ প্রার্থী।

তারা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর (একতারা), জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লা (গোলাপফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মো. সহিদুল ইসলাম মিটু (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ আবুল কালাম (আম) ও গণফ্রন্ট পার্টির সৈয়দা লিমা হাসান (মাছ)।

গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতাকর্মী ছাড়া এ সংসদীয় আসনে এখন পর্যন্ত অন্য ৫ প্রার্থী বা তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচনি মাঠে দেখা পাওয়া যায়নি। এমনকি এসব প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার বা ফেস্টুনও চোখে পড়েনি।

গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অষ্টমবারের মতো নির্বাচন করছেন। এর আগে তিনি এ আসন থেকে সপ্তমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার বিপক্ষে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাদের মধ্যে কেউ-ই জামানত ফিরে পায়নি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন। তবে তারা এই আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের আশা করছেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মাহাবুর মোল্লা ও গণফ্রন্ট পার্টির সৈয়দা লিমা হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা দু-একদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করব।

কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছেন, তারা কেউ-ই জামানত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারেনি। আশা করছি এবারও যে ৫ প্রার্থী আমাদের প্রিয় নেত্রীর বিপক্ষে নির্বাচন করছেন, তারা তাদের জামানত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন না।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, আমরা চাই এই আসনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। অন্যান্য যেসব দলের প্রার্থী নির্বাচন করছেন, তাদের নেতাকর্মীরাও প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাক। এ জন্য আমাদের কোনো নেতাকর্মী যদি অন্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করে, তা হলে সেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, বিগত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশসহ গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মানুষদের অনেক কিছু দিয়েছেন। বিনিময়ে তিনি আমাদের কাছে কিছুই চাননি। এখন আমাদের সময় এসেছে তাকে কিছু দেওয়ার। আমরা সবাই ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

শেখ হাসিনার বিপক্ষে দাঁড়ালেও মাঠে নেই ৫ প্রার্থীর কেউ-ই!

আপডেট সময় ০৩:০৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে পরিচিত গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে লড়ছেন ৫ প্রার্থী।

তারা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর (একতারা), জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লা (গোলাপফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মো. সহিদুল ইসলাম মিটু (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ আবুল কালাম (আম) ও গণফ্রন্ট পার্টির সৈয়দা লিমা হাসান (মাছ)।

গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতাকর্মী ছাড়া এ সংসদীয় আসনে এখন পর্যন্ত অন্য ৫ প্রার্থী বা তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচনি মাঠে দেখা পাওয়া যায়নি। এমনকি এসব প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার বা ফেস্টুনও চোখে পড়েনি।

গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অষ্টমবারের মতো নির্বাচন করছেন। এর আগে তিনি এ আসন থেকে সপ্তমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার বিপক্ষে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাদের মধ্যে কেউ-ই জামানত ফিরে পায়নি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন। তবে তারা এই আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের আশা করছেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মাহাবুর মোল্লা ও গণফ্রন্ট পার্টির সৈয়দা লিমা হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা দু-একদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করব।

কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছেন, তারা কেউ-ই জামানত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারেনি। আশা করছি এবারও যে ৫ প্রার্থী আমাদের প্রিয় নেত্রীর বিপক্ষে নির্বাচন করছেন, তারা তাদের জামানত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন না।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, আমরা চাই এই আসনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। অন্যান্য যেসব দলের প্রার্থী নির্বাচন করছেন, তাদের নেতাকর্মীরাও প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাক। এ জন্য আমাদের কোনো নেতাকর্মী যদি অন্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করে, তা হলে সেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, বিগত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশসহ গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মানুষদের অনেক কিছু দিয়েছেন। বিনিময়ে তিনি আমাদের কাছে কিছুই চাননি। এখন আমাদের সময় এসেছে তাকে কিছু দেওয়ার। আমরা সবাই ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেব।