মনোনয়ন ফেরত পাবার আসায় এবং নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার কাছে সার্টিফাইড কাগজপত্রের জন্য আবেদন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিন প্রার্থী এ আবেদন করেন। প্রার্থীরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন এবং চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক নূর হাকিম ।
গত ৪ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সেমিনার পক্ষে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের ২০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই – বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে রিটার্নিং অফিসার ড. কিসিঞ্জার চাকমা কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে ঘোষনা করেন।
চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে বৈধ বলে বিবেচিত হন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুন (এমপি), জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, এনপিপির ইদ্রিস চৌধুরী, জাকির পার্টির সালাম উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ-উপকমিটির সদস্য এম এ রাজ্জাক খান রাজ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা ১ আসনে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে যে তিনজন প্রার্থীর তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভিন, তৃণমূল-বিএনপি’র তাইজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদিন খোকন।
চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে বৈধ বলে বিবেচিত হন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি আলী আজগার টগর (এমপি), জাতীয় পার্টির প্রার্থী রবিউল ইসলাম, এনপিপির ইদ্রিস চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের দেওয়ান মোহাম্মদ ইয়াসিন উল্লাহ, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আবু হাশেম রেজা।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল মল্লিক, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক মোল্লা, ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক- প্রকাশক নূর হাকিম।
অবৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা রিটার্নিং অফিসারের কাছে সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে ঢাকাস্থ নির্বাচন কমিশনে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রার্থীতা ফিরে পেতে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে তিনজন প্রার্থী এক বুক আশা নিয়ে ঢাকাস্থ্য নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে অংশগ্রহণ করবার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
বৈধ প্রার্থীগণ ১৭ ডিসেম্বর বিকেল চারটার মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন আর ১৮ ডিসেম্বর বেলা দশটায় হবে প্রতীক বরাদ্দ। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।