আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা ৭ম বারের মতো মাদারীপুর-১-(শিবচর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-১-(শিবচর) আসনে নৌকা প্রতীকে লড়বেন নূর-ই-আলম চৌধুরী।
নূর-ই-আলম চৌধুরী শিবচর নির্বাচনী এলাকার বর্তমান এবং টানা ৬ বারের সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ। তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সংসদীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
এছাড়া দশম জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি। নবম জাতীয় সংসদের হুইপ ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-১ আসন। এ আসন থেকে টানা ৭ম বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন নূর-ই-আলম চৌধুরী । এর আগের ৬ বার মনোনয়ন পেয়ে প্রতিবারই নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন এই রাজনীতিবিদ।
জানা যায়, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর পিতা মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদাভাই) ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক ও মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ। দাদাভাই ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা।
দাদাভাই ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদে ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে ঐ বছর উপনির্বাচনে দাদাভা’র বড় ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপরে ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে লড়াই করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।