ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপির ৩ সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের হিসাব রক্ষক শেখ নাসির উদ্দিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আগামীকাল শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে , পৃথিবীর সবাইকে ক্ষমা করা গেলেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করা যাবে না এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু কৃষক দলের প্রতিষ্ঠা বাষিক উপলক্ষে আলোচনা সভা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ২০২৫-২৬ সালের কমিটি গঠন সম্পন্ন। রাতের আঁধারে ভাঙচুর করে বাড়ি আসবাবপত্র ফেললো পুকুরে, বাড়ি ছাড়া পরিবার বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠালেন এবি ব্যাংকের এমডি প্রয়োজনে সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জনপ্রতিনিধিদের, কিন্তু কেন?

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

হবিগঞ্জের মাধবপুরের আান্দিউরা ইউনিয়নের বাড়া চান্দুরা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের পুত্র ইসমাইল হোসেন (১৭) সহ আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে ঐ গ্রামের স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে মিথ্যা ও হয়রানি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ (নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে মামলার অন্যতম আসামি ইসমাইল হোসেন জানায়, ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস সামান্তা আমাকে খুব ভালোবাসে। সে আমাকে ছাড়া বাঁচবে না বলে জানায়। সে বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতেও চলে আসছে। কিন্তু আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে মেয়ের অভিভাবকের নিকট ফেরত দিয়েছি। এখন মেয়ের বাবা মোঃ আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে নারী ও অপহরণের অভিযোগে জিআর ৪৮৪/২২ নং দায়ের করে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ।

জান্নাতুল ফেরদৌস সামান্তা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় যে বক্তব্য দিয়েছে সেখানেও আমাদেরকে নির্দোষ মর্মে জবানবন্দী প্রদান করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সামছূ মিয়া বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক আছে বলে আমি ও এলাকাবাসীর নজরে আসে। এখানে একতরফাভাবে মামলা দিয়ে ছেলেটিকে হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। মাধবপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হাকিম বলেন, তার ও তার পরিবারকে হয়রানি করার জন্যই মূলত এ ধরনের মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে।

মামলার অপর আসামি মর্জিনা আক্তার জানায়, আমাকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই এস এম বুলবুল আহমেদ বিভিন্নভাবে আমাদের কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা নিয়েও কান্ত হয়নি। সে আরো ৮০ হাজার টাকা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে মামলা সুরাহা করে দিবে বলে টাকা দাবি করে আসছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে মোটো ফোনে মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘুষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মামলার চার্জশিট কোর্টে দাখিল করা হয়েছে এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের দাবি বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটন করে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির ৩ সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ বুধবার

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৮:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

হবিগঞ্জের মাধবপুরের আান্দিউরা ইউনিয়নের বাড়া চান্দুরা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের পুত্র ইসমাইল হোসেন (১৭) সহ আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে ঐ গ্রামের স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে মিথ্যা ও হয়রানি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ (নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে মামলার অন্যতম আসামি ইসমাইল হোসেন জানায়, ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস সামান্তা আমাকে খুব ভালোবাসে। সে আমাকে ছাড়া বাঁচবে না বলে জানায়। সে বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতেও চলে আসছে। কিন্তু আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে মেয়ের অভিভাবকের নিকট ফেরত দিয়েছি। এখন মেয়ের বাবা মোঃ আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে নারী ও অপহরণের অভিযোগে জিআর ৪৮৪/২২ নং দায়ের করে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ।

জান্নাতুল ফেরদৌস সামান্তা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় যে বক্তব্য দিয়েছে সেখানেও আমাদেরকে নির্দোষ মর্মে জবানবন্দী প্রদান করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সামছূ মিয়া বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক আছে বলে আমি ও এলাকাবাসীর নজরে আসে। এখানে একতরফাভাবে মামলা দিয়ে ছেলেটিকে হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। মাধবপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হাকিম বলেন, তার ও তার পরিবারকে হয়রানি করার জন্যই মূলত এ ধরনের মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে।

মামলার অপর আসামি মর্জিনা আক্তার জানায়, আমাকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই এস এম বুলবুল আহমেদ বিভিন্নভাবে আমাদের কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা নিয়েও কান্ত হয়নি। সে আরো ৮০ হাজার টাকা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে মামলা সুরাহা করে দিবে বলে টাকা দাবি করে আসছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে মোটো ফোনে মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘুষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মামলার চার্জশিট কোর্টে দাখিল করা হয়েছে এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের দাবি বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটন করে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।