কুলাউড়া সরকারি কলেজের বার্ষিক মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠান শেষে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিলাদ মাহফিলের গেট, স্টেজ, আসবাবপত্র ও দরজাজানালা ভাঙচুর করা হয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরে ন্যায় এ বছরও কলেজে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা খাওয়াদাওয়া করতে গেলে কিছু সংখ্যক উশৃঙ্খল অছাত্র মিলাদ মাহফিলের গেট, স্টেজ, চেয়ার ও দরজাজানালা ভাঙচুর করে। ইউএনও-ওসি পরিস্থিতি শান্ত করতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসানকে জানালে তিনি একদল পুলিশ ফোর্স এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হান্নান জানান, অতিথিরা খাওয়াদাওয়ার সময় কিছু উশৃঙ্খল অছাত্র সন্ত্রাসী প্রকৃতির সংঘবদ্ধ একদল উত্তেজনা সৃষ্টি করে এ ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক , কলেজ কর্তৃপক্ষকে থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তারা অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, কলেজের অধ্যক্ষকে থানায় মামলা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।