শুরুটা হয়েছিল কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। সেখান থেকে সরাসরি যান লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে।
দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করে সোমবার রাতে দেশে ফিরে আসেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দেশে ফিরেও ব্যস্ততার শেষ নেই তার। সকালে বরিশালে গিয়েছিলেন হাসপাতালে রক্তদান কর্মসূচিতে।
সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে বিকেলে ফিরে আসেন ঢাকায়। রাজধানীর বনশ্রীতে একটি মুঠোফোন কোম্পানির শ্যুটিং করবেন সাকিব। এমন ব্যস্ততা এই অলরাউন্ডারের জন্য নতুন নয়। নিয়মিতই ছুটে বেড়ান পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। এমন ব্যস্ততা ভালোই লাগে বলে জানিয়েছেন সাকিব।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যেটা বললাম, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এগুলো ম্যানেজ করেই চলতে হয়। যেহেতু সময় এত বেশি নেই। এই অল্প সময়ে সবকিছু ম্যানেজ করার একটা ওয়ে তো বের করাই লাগে। একটু ব্যস্ততা থাকে। কিন্তু ভালোই লাগে ব্যস্ততা। ’
অক্টোবরে ভারতের মাটিতে হতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের আসর। ২০১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৬০৬ রানের সঙ্গে বল হাতে নেন ১০ উইকেট। ওই টুর্নামেন্টের আগে একটা ‘কিক’ পেয়েছিলেন বলে জানান তিনি। এবারও কি আছে তেমন কিছু?
জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘ওরকম কোনো কিক নেই। শুধু চেষ্টা করতেছি যতটা ফিট থাকা যায়। যেহেতু সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট বা সিরিজ আছে। প্রচুর খেলা আছে, ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি। ’
সাকিব এবার দেশে ফিরেছেন ৩৫ দিনের বেশি সময় পর। লম্বা সময় দেশের বাইরে থাকায় অন্যদের মতো তিনিও দেশকে মিস করেছেন বলে জানান সাকিব, ‘যে কেউ দেশের বাইরে থাকলে দেশকে মিস করে। আমার ক্ষেত্রেও নতুন কিছু না। দেশে আসতে পেরে ভালোই লাগছে। ’
দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা জানিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘শ্রীলঙ্কারটা বিশেষত আমাদের জন্য একটু গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেহেতু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ম্যাচ আছে। ওদের সবার সঙ্গে খেললাম, মাঠের সম্পর্কে ধারণা হলো; ওদের প্লেয়ারদের সম্পর্কে আইডিয়া হলো। সেদিক থেকে ভালোই হলো। ’