চাঁপাইনবাবগঞ্জ: গত ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। ভারতের অভ্যন্তরে দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।
শুল্ক আরোপের খবরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের খুচরা ও পাইকারি বাজারে এক লাফে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা।
বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ ক্রেতারা। এর আগে বন্যার অজুহাতে গত ১৫ দিন আগেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা করে বাড়িয়েছিল ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোনো পেঁয়াজের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেনি। সংশ্লিষ্টদের ধারণা গোয়েন্দা নজরদারি না বাড়ালে পেঁয়াজের দাম আবার বাড়বে হু হু করে। গত ৭ দিনের আমদানি তথ্য থেকে জানা গেছে এ বন্দর দিয়ে গত ৭ দিনে ৫৭০টি ভারতীয় ট্রাকে করে ১৬ হাজার ৩৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট ৬৯ ট্রাকে ১ হাজার ৯৮৯ মেট্রিক টন এবং সর্বশেষ ১৯ আগস্ট ৮৭টি ভারতীয় ট্রাকে ২ হাজার ৫০৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোনো ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেনি।
শিবগঞ্জ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা মামুন ক্ষোভের সঙ্গে জানান, সোনামসজিদ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজার টন করে পেঁয়াজ আমদানি হলেও মাত্র একদিনের ভারতীয় একটি আদেশে বাংলাদেশে কেজিপ্রতি ১৫ টাকা পেঁয়াজের দাম বাড়া কাম্য নয়। স্থানীয় সরকারের উচিত এত পেঁয়াজ আমদানির পরও কেন দাম বাড়ছে তা খতিয়ে দেখা। এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ডিমের মতো এ পণ্যটির দামও নাগালের বাইরে চলে যাবে।
এ ব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন অফিসার কামাল খান জানান, শনিবার এ বন্দর দিয়ে ৮৭টি পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও রোববার বিকেল পর্যন্ত কোনো পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। তিনি ভারতীয় একটি চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলেন, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ অব্যাহত রাখবে ভারত সরকার। এতে করে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমার আশঙ্কা রয়েছে। তবে গতকাল সহ এর আগে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ভারতীয় ট্রাক থেকে আনলোড করে দেশীয় ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।