হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বলেছেন পুলিশকে আরও জনবান্ধব হতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, পুলিশের অভ্যন্তরেও সুশাসন, জবাবদিহিতা ও অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পুলিশের কর্মকর্তাদের অন্যান্য সদস্যের সামনে নিজেদের কর্মকাণ্ড দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করে দেখাতে হবে। ঔপনিবেশিক শাসনামলের মতো শুধু নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মতো আচরণ করলে চলবে না। তাদের সেবাধর্মী মনোভাব নিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।
সর্বস্তরে যে কোনো কাজের কঠোর জবাবদিহিতা ও অপরাধমূলক কাজের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে সন্দেহ নেই। মানুষের মনে পুলিশ সম্পর্কে যে বিরূপ ধারণা আছে, তা ধীরে ধীরে কেটে যাবে।
পুলিশও জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারবে। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসও তখন ফিরে আসবে। এজন্য জনগণের সঙ্গে পুলিশের আরও বেশি বেশি যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে, যেন তারা বিপদে-আপদে পুলিশকেই শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল ভাবতে পারেন; যেন নিঃসংকোচে বলতে পারেন, ওরা সত্যিকার অর্থেই জনগণের বন্ধু।
শনিবার ২৯ অক্টোবর সকালে বানিয়াচংয়ে শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২ উদযাপিত হয়েছে। এসময় থানার সামন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানার সামনে গিয়ে শেষ হয় র্যালিটি।
র্যালি শেষে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় দেবের সভাপতিত্বে থানা প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আব্দুল মজিদ খান উপরোক্ত কথা গুলি বলেছেন। তিনি আরো বলেন সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, জনগণকে সচেতন করা, আইনি সহায়তা দেওয়া এবং পুলিশ ও জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে কমিউনিটি পুলিশ। অপরাধ দমনে অন্যতম কৌশল ‘কমিউনিটি পুলিশিং’।
কমিউনিটি পুলিশের মূলমন্ত্র শান্তি-শৃঙ্খলা সর্বত্র’ এই প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২। পুলিশ জনগণের বন্ধু। সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশি ভীতি দূর করে সেবা সহজ করতে কমিউনিটি পুলিশিং-এর বিকল্প নেই।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মসন সিংহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন মাস্টার, সহ সভাপতি ও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপুল ভূষণ রায়, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এরশাদ আলী, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ শামরুল ইসলাম, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জয় কুমার দাস, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছাদিক মিয়া, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাসুদ কুরাইশি মক্কী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।