শুরুতে দিলেন বড় রান করার আভাস। শেষ অবধি লিটন দাস রান করতে পারেননি খুব বেশি।
তবুও দলের পক্ষে ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে তার দল পায় লড়াই করার মতো সংগ্রহ। পরে পেয়েছে জয়ও। আরেক ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
বুধবার টরন্টো ন্যাশনালসের বিপক্ষে ২০ রানে জিতেছে লিটনের দল সারে জাগুয়ার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভারের ম্যাচে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করে তারা। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি টরেন্টো।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় সারে। অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন যতীন্দর সিং। এরপর তিন নম্বরে নামেন লিটন। হেলসের সঙ্গে তার জুটি ছিল ১১ রানের। পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার এক বল বাকি থাকতেই ইংলিশ ব্যাটার ফিরে যান। ১৭ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
এরপর লিটনের সঙ্গী হন ইফতিখার আহমেদ। প্রথম ১০ বলে লিটনের রান ছিল ৭। পরের বলে বাঁ-হাতি স্পিনার সাদ বিন জাফরকে চার হাঁকান তিনি। পরের ওভারে সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদিকে জায়গা বানিয়ে আরেকটি দারুণ শটে লেগ সাইড দিয়ে ছক্কা মারেন।
কিন্তু পরের ওভারেই জাফরকে রিভার্স-সুইপ করতে গিয়ে তিনি পয়েন্টে থাকা ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দেন। ১ চার ও সমান ছক্কায় ২১ বলে ২০ রান করেন লিটন। যা দলটির হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। লিটনের বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নেন ইফতেখার। দলের পক্ষে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন তিনি। যার ওপর ভর করে সারে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ১৮ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান তোলে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে টরন্টোর ইনিংস থামে ১২১ রানে। পেসার ম্যাথু ফোর্ড ৪ উইকেট নেন। এর আগে ব্যাট হাতে ১১ বলে ১৯ রান করায় তিনি ম্যাচসেরা হয়েছেন। টরেন্টোর পক্ষে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন কলিন মুনরো।
অন্য ম্যাচে সাকিবের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ছন্দপতন ঘটেছে। প্রথম ম্যাচে ২৬ রান করার পাশাপাশি ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। পরের ম্যাচে ১ উইকেট পেলেও ব্যাট হাতে করেছিলেন ৩৬ রান। কিন্তু গতকাল ভ্যানকুভার নাইটসের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট ও বলে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। ৪ ওভার বল ঘুরিয়ে খরচ করেছেন ৪১ রান। তবে সাকিব ব্যর্থ হলেও জয় পেয়েছে তাঁর দল মন্ট্রিয়েল টাইগার্স।