জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনসহ দেশের স্থানীয় সরকারের ৭৮টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ঢাকা-১৭ আসনের কেন্দ্রগুলোতে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচটি।
সরেজমিনে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকায় বসে বসে অবসর সময় কাটাতে দেখা গেছে কেন্দ্রের দায়িত্বরদের।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এই আসনের ভোটগ্রহণ। বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলবে।
ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনের কেন্দ্র রাজধানীর গুলশান মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঁচটি কেন্দ্রে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
এর মধ্যে ৬৬ নম্বর কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩০২৯ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল মাত্র ৫টি।
৬৩ নম্বর কেন্দ্রে দশটা পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়েছে মাত্র ২৪ টি। এখানে ভোট রয়েছে ২৫৮৮ টি। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, কেন কম ভোটকাস্ট হচ্ছে তা তো আমি বলতে পারব না।
এই কেন্দ্রে সত্তরোর্ধ্ব আব্দুস সামাদ ও জাকিয়া দম্পতি ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা বলেন, আগে ভোট ছিল ঈদের আনন্দের মতো। এখন সেটি নাই।
এদিকে সোমবার বেলা ১১টায় গুলশাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে আরাফাত বলেন, যদি সাংগঠনিক শক্তিমত্তা না থাকে, এখানে ১২৪ টা কেন্দ্র আছে, ৬০৫টা বুথ আছে৷ প্রত্যেকটা কেন্দ্রেই এজেন্ট লাগবে, এজেন্টদের ক্ষেত্রে সকালে একজন আবার দুপুরের পর আরেকজন লাগে। শুধু এজেন্টের কথা চিন্তা করলেই ১২০০ লোকের প্রয়োজন। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে হয়তো পারে না অনেকে।
তিনি বলেন, সেই ক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই, আওয়ামী লীগের সেই সাংগঠনিক সামর্থ্য আছে। প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের ব্যাচ পরা যে নেতাকর্মীরা আছে, শুধু যদি তারা ভোট দেয় এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনরা ভোট দেয়, তাহলে তো ২০-২৫ হাজার ভোট পড়ে যাবে।
জয়ের আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ভালোই ভোটার আসছে। কেমন ভোট পড়ছে তার জন্য ভোটকেন্দ্র চোখ রাখতে হবে। তবে এখনই তার সঠিক ফিগারটা বলা যাবে না। জয়ের ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, আসলে আমরা বলছি না যে নৌকায় ভোট দেন। মানুষ ভোট দিতে এলে ভোট নৌকায় পড়বে। আমাদের ডানে বামে শুধু নৌকার ভোট।