প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অত্যন্ত বাজে মন্তব্য করায় সহ্য করতে পারেন নি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে এক ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ‘বিব্রতকর’ ঘটনা নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরে এ কথা বলেন।
ভিডিও বার্তায় শামীম ওসমান বলেন, যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার মতো একটা সভ্য দেশে এসেছে এবং সেখানে এসে তারা সভ্যতা শেখেনি। আমেরিকার মতো একটি সভ্য দেশে যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, সেটা অবশ্যই দুঃখজনক। তবে তাদের নেতা তাদের যে শিক্ষা দিয়েছেন, তাদের কাছে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি ওখানে একাই ছিলাম। আমার সঙ্গে এক ছোট ভাই ছিলেন। সে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমি গাড়ি থেকে নামতামই না, তারা যদি শুধু আমাকে গালি দিত। আমি তাদের সামনেই যেতাম না। যখন তারা জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে অত্যন্ত বাজে মন্তব্য করেছে। তখন আমাকে নামতেই হয়েছে। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। এ বিষয় নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জসহ সব জায়গায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আমি সবার কাছে অনুরোধ করব, এতে আমাদের উত্তেজিত হওয়ার কিছু নাই। জাতির পিতা কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের নেত্রী আমাদের এই শিক্ষা দেন নাই। তাই সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করব এবং দয়া করে আরেকটি অনুরোধ করব যে, এই বিচারের ভার জনগণের কাছেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে যে, যেহেতু আমি একা ছিলাম। তারা অনেকে লোক ছিল। কিন্তু প্রতিবাদ আমি একা করি নাই। জ্যাকসন হাইটসে যারা বিভিন্ন দোকানের মালিক আছেন, তারাও প্রতিবাদ করেছেন। তারা নিজেরাই শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদ করেছেন এবং একটা পর্যায়ে প্রতিরোধ করেছেন । তাই তারা ওখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জনগণ যে দেশে এবং বিদেশে আমাদের সঙ্গে আছে, এটি তারা প্রমাণ করেছেন। তাই আমি আপনাদের গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি, সবাই যেন একটু শান্ত থাকেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (১২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসের লিটল বাংলাদেশ (৭৩ স্ট্রিট) এলাকায় যান শামীম ওসমান। সেখানে তাকে দেখামাত্র রাস্তার বিপরীতে থাকা নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি নেতা রাব্বী, সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা বাদল মির্জাসহ কয়েকজন যুবক কটূক্তি করে। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। একপর্যায়ে কটূক্তিকারীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা হয়।