ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে পুলিশের শতভাগ নিরপেক্ষতা না পেলে বলবেন। আমি নাকে খত দিয়ে চলে যাব।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ভোটে শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে পুলিশ। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, সুষ্ঠু ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা দেখি। সব এলাকার জন্য সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমরা বিবেচনা করব- কোথায় ঝুঁকি বেশি, কোথায় ঝুঁকি কম। সে হিসাবে ফোর্স মোতায়েন কোথাও কমবেশি হবে।
তিনি বলেন, ডিএমপির সক্ষমতা রয়েছে। এই ছোট একটি উপ-নির্বাচনে মোতায়েনের জন্য যথেষ্ট ফোর্স রয়েছে, সক্ষমতা রয়েছে। ইসির চাহিদা মোতাবেক অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যা যা করণীয়, সব ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইসি যে ধরনের সুষ্ঠু, স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাচ্ছে, সে ধরনের সহযোগিতা পুলিশের পক্ষ থেকে সবসময় থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ভোট নির্ভর করে জনগণের ওপর। প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের ওপর। আমাদের কাজ হলো কেন্দ্রের পুরো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের নিরপেক্ষতা ও প্রমাণের জায়গা শতভাগ থাকবে। আমি একশ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। ১৭ জুলাইয়ের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ পান কি না। যদি (নিরপেক্ষতা) না পান তখন বলবেন। আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম আলম বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন রয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় আরও ৭৫টি ভোট রয়েছে ১৭ জুলাই। ঢাকা-১৭ উপ নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপারের মাধ্যমে প্রথম ভোট হচ্ছে। আমাদের বার্তা একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করা। পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি শতভাগ আস্থা রয়েছে। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ভোটের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।