ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

জুনে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি পোশাকখাতে

ঢাকা: জুন মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

মঙ্গলবার (০৩ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এই তথ্য জানিয়েছে।

চলতি বছরের জুন মাসে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আর নীটওয়্যার পোশাক খাতে রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। জুনে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

তবে জুন মা‌সে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। আর অর্জিত হ‌য়ে‌ছে ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ দশমিক ৯০ শতাংশ কম।

অন্যদিকে, জুলাই-জুন (২০২২-২৩) অর্থবছরে ওভেন পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। নীটওয়্যার পোশাক খাতে রপ্তানি হয়েছে ২৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

একই অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।

জুলাই-জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, আর অর্জন হ‌য়ে‌ছে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। এটি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাত্র ০ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, জুনে না হলেও ২২-২৩ অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। যদিও ফিগারটা খুব বড়ো নয়। তবে, এই দুঃসময়ের মধ্যে, এই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এটা অনেক বড় বিষয়। কিন্তু, এই অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খুব খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ, কীভাবে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে, সেটাও বুঝতে হবে।

তিনি আরও বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হওয়ার পরও আমাদের ক্যাপাসিটি (সক্ষমতা) ভালো, অনেক খালি রয়েছে। ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিয়েছি। তাহলে কীভাবে অর্জিত হল? আমাদের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে রপ্তানির ফিগারটা বড় দেখাচ্ছে। এরপর আমাদের উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। সুতরাং, এসব মিলিয়ে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। সুতরাং আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

জুনে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি পোশাকখাতে

আপডেট সময় ১২:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

ঢাকা: জুন মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

মঙ্গলবার (০৩ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এই তথ্য জানিয়েছে।

চলতি বছরের জুন মাসে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আর নীটওয়্যার পোশাক খাতে রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। জুনে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

তবে জুন মা‌সে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। আর অর্জিত হ‌য়ে‌ছে ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ দশমিক ৯০ শতাংশ কম।

অন্যদিকে, জুলাই-জুন (২০২২-২৩) অর্থবছরে ওভেন পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। নীটওয়্যার পোশাক খাতে রপ্তানি হয়েছে ২৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

একই অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।

জুলাই-জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, আর অর্জন হ‌য়ে‌ছে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। এটি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাত্র ০ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, জুনে না হলেও ২২-২৩ অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। যদিও ফিগারটা খুব বড়ো নয়। তবে, এই দুঃসময়ের মধ্যে, এই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এটা অনেক বড় বিষয়। কিন্তু, এই অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খুব খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ, কীভাবে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে, সেটাও বুঝতে হবে।

তিনি আরও বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হওয়ার পরও আমাদের ক্যাপাসিটি (সক্ষমতা) ভালো, অনেক খালি রয়েছে। ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিয়েছি। তাহলে কীভাবে অর্জিত হল? আমাদের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে রপ্তানির ফিগারটা বড় দেখাচ্ছে। এরপর আমাদের উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। সুতরাং, এসব মিলিয়ে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। সুতরাং আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।