ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে শ্রম সচিবের সতর্কতা, নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির বাংলাদেশ ব্যাংকে বিক্ষোভ, দুই ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ দাবি ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ মহোদয়ের উপস্থিতিতে নরসিংদী জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত। জয়পুরহাটে মা-ছেলের একসঙ্গে গ্রাজুয়েশন বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কেএনএ’র গোপন আস্তানায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর কমিটি পাঁচবিবি বহুমূখী সমবায় সমিতির নির্বাচনে সাংবাদিক সজল কুমার দাসের মনোনয়ন পত্র উত্তোলন অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা?

বড় জয়ে মান রক্ষা করল পাকিস্তান

প্রথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত হিসেবে হারতে হয়েছে দুই ম্যাচেই। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জেতা আফগানদের সামনে সুযোগ ছিল, প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেওয়ার। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারলেন না রশিদ খানরা। উল্টো বড় হার দিয়ে সিরিজ শেষ করেছে তারা। 

সোমবার (২৭ মার্চ) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের জয় ৬৬ রানের। প্রথম দুই ম্যাচে ৯২ ও ১৩০ রানের পর এবার ১৮২ রান করে পাকিস্তান। যেখানে বড় অবদান সাইম আইয়ুবের। এই ওপেনার ৪০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৪৯ রান।

আগের দুই ম্যাচে ৭ ও ৬ উইকেটে জেতা আফগানিস্তান এবার আশাই জাগাতে পারেনি। আট বল বাকি থাকতে তারা গুটিয়ে যায় ১১৬ রানে। এই সিরিজের পাকিস্তান অধিনায়ক শাদাব খান ব্যাটিংয়ে ১৭ বলে ২৮ রানের পর হাত ঘুরিয়ে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পেসার ইহসানউল্লাহর প্রাপ্তিও ৩ উইকেট।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ হারিসকে হারায় পাকিস্তান। তিন নম্বরে নেমে দুই অঙ্ক ছুঁয়েই বিদায় নেন তাইয়েব তাহির। টানা চার টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর এবার শুরুটা ভালো করেন আবদুল্লাহ শফিক। ছক্কায় ওড়ান ফরিদ আহমেদ ও মোহাম্মদ নবিকে। তার ১৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস থামান রশিদ খান।

এক প্রান্ত আগলে রাখা সাইম এরপর ইনিংস সেরা ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে। ফিফটির দুয়ারে গিয়ে মুজিব উর রহমানের দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন সাইম। ইফতিখার ২৫ বলে ২ ছক্কায় করেন ৩১ রান। আগের ম্যাচে ফিফটি করা ইমাদ ওয়াসিম এবার থামেন ১৩ রানে। শাদাবের ১৭ বলে ৫ চারে ২৮ রানের সুবাদে বড় পুঁজি গড়ে পাকিস্তান।

এরপর রান তাড়ায় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলেন ৩৫ রান। এরপর দ্রুত ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। গুরবাজ ১১ বলে করেন ১৮। অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ ১১ রান করতে খেলেন ১৯ বল। ইব্রাহিম জাদরান যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।

উসমান ঘানি ও মোহাম্মদ নবি এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে ৩১ রানের এ জুটি ভাঙতেই আবার পথ হারিয়ে ফেলে আফগানরা। নবি বিদায় নেন দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় রান আউট হয়ে। মুখোমুখি প্রথম বলে ইহসানউল্লাহর বাউন্সারে হেলমেটের গ্রিলে আঘাত পান নাজিবউল্লাহ জাদরান। তার থুতনি থেকে রক্ত বেরুতে দেখা যায়। ছেড়ে যান মাঠ।

করিম জানাত পান গোল্ডেন ডাক এর তেতো স্বাদ। শাদাব খান পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন ঘানি ও মুজিবকে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এরপর রশিদ খানের ১৬ ও নাজিবউল্লাহর কনকাশন বদলি নামা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ইনিংস সর্বোচ্চ ২১ রানের সুবাদে পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমাতে পারে আফগানরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে

বড় জয়ে মান রক্ষা করল পাকিস্তান

আপডেট সময় ০২:১২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

প্রথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত হিসেবে হারতে হয়েছে দুই ম্যাচেই। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জেতা আফগানদের সামনে সুযোগ ছিল, প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেওয়ার। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারলেন না রশিদ খানরা। উল্টো বড় হার দিয়ে সিরিজ শেষ করেছে তারা। 

সোমবার (২৭ মার্চ) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের জয় ৬৬ রানের। প্রথম দুই ম্যাচে ৯২ ও ১৩০ রানের পর এবার ১৮২ রান করে পাকিস্তান। যেখানে বড় অবদান সাইম আইয়ুবের। এই ওপেনার ৪০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৪৯ রান।

আগের দুই ম্যাচে ৭ ও ৬ উইকেটে জেতা আফগানিস্তান এবার আশাই জাগাতে পারেনি। আট বল বাকি থাকতে তারা গুটিয়ে যায় ১১৬ রানে। এই সিরিজের পাকিস্তান অধিনায়ক শাদাব খান ব্যাটিংয়ে ১৭ বলে ২৮ রানের পর হাত ঘুরিয়ে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পেসার ইহসানউল্লাহর প্রাপ্তিও ৩ উইকেট।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ হারিসকে হারায় পাকিস্তান। তিন নম্বরে নেমে দুই অঙ্ক ছুঁয়েই বিদায় নেন তাইয়েব তাহির। টানা চার টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর এবার শুরুটা ভালো করেন আবদুল্লাহ শফিক। ছক্কায় ওড়ান ফরিদ আহমেদ ও মোহাম্মদ নবিকে। তার ১৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস থামান রশিদ খান।

এক প্রান্ত আগলে রাখা সাইম এরপর ইনিংস সেরা ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে। ফিফটির দুয়ারে গিয়ে মুজিব উর রহমানের দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন সাইম। ইফতিখার ২৫ বলে ২ ছক্কায় করেন ৩১ রান। আগের ম্যাচে ফিফটি করা ইমাদ ওয়াসিম এবার থামেন ১৩ রানে। শাদাবের ১৭ বলে ৫ চারে ২৮ রানের সুবাদে বড় পুঁজি গড়ে পাকিস্তান।

এরপর রান তাড়ায় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলেন ৩৫ রান। এরপর দ্রুত ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। গুরবাজ ১১ বলে করেন ১৮। অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ ১১ রান করতে খেলেন ১৯ বল। ইব্রাহিম জাদরান যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।

উসমান ঘানি ও মোহাম্মদ নবি এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে ৩১ রানের এ জুটি ভাঙতেই আবার পথ হারিয়ে ফেলে আফগানরা। নবি বিদায় নেন দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় রান আউট হয়ে। মুখোমুখি প্রথম বলে ইহসানউল্লাহর বাউন্সারে হেলমেটের গ্রিলে আঘাত পান নাজিবউল্লাহ জাদরান। তার থুতনি থেকে রক্ত বেরুতে দেখা যায়। ছেড়ে যান মাঠ।

করিম জানাত পান গোল্ডেন ডাক এর তেতো স্বাদ। শাদাব খান পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন ঘানি ও মুজিবকে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এরপর রশিদ খানের ১৬ ও নাজিবউল্লাহর কনকাশন বদলি নামা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ইনিংস সর্বোচ্চ ২১ রানের সুবাদে পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমাতে পারে আফগানরা।