ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অভিযুক্ত চাঁদাবাজ আদনানকে আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণ নাটোরে বিএনপি জাতীয় পার্টি থেকে ৫০জন নেতাকর্মী জামায়াতে যোগদান সচিবালয়ের কর্মকর্তা সেজে শত যুবকের স্বপ্ন ভঙ্গ! কোটি টাকার প্রতারণায় নারী চক্র “দুর্নীতির পাহাড় গড়া হারুন এখন পদোন্নতির তালিকায়” মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি সহ ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা হরিলুটের অভিযোগ কাজ না করেই ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ প্রাক্তন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ডিপিডিসিতে কোটি টাকার রাজত্ব লাইনম্যান মিলনের ১২টি সড়ক নির্মাণ ছাড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ রফিকুল ইসলামের আলাউদ্দিনের চেরাগ হাতে পেয়েছে সিসিকের সোহেল জন্মদিনের আবহে মুগ্ধতা ছড়ালেন মিম

কুলাউড়ায় চা শ্রমিকদের সড়ক-রেলপথ অবরোধ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কপথ অবরোধ ও ট্রেন আটকে আন্দোলন করেছেন চা শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে শহরের নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় চৌমুহনীতে সড়কপথ অবরোধ করে শ্রমিকরা এ আন্দোলন শুরু করেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে ওই এলাকায় আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন ঘণ্টাখানেক আটকিয়ে রাখেন শ্রমিকরা।

উপজেলার কালোটি, রাঙ্গিছড়া, রাজানগরসহ কয়েকটি বাগানের সহস্রাধিক শ্রমিক মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে কুলাউড়া-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় চা শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর, কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুস ছালেক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের অবরোধ তুলে নিতে শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করেন।

ঘণ্টাখানেক পর ৫টার দিকে ট্রেন ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন অব্যাহত রাখছেন চা শ্রমিকরা। এর আগে, ২১ আগস্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রাত ৯টার দিকে শুরু করে দিবাগত রাত রাত তিনটা পর্যন্ত চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এ সময় পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া ও বিভাগীয় শ্রম পরিচালক নাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। টানা প্রায় ছয় ঘণ্টা চলা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে একটি লিখিত যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে শ্রমিকরা তাদের নির্ধারিত চলমান ১২০ টাকা মজুরিতেই আজ থেকে কাজে যোগ দেবেন। শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের আবেদন করেছেন। তারা আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী আসন্ন দুর্গাপূজার আগে ভিডিও কনফারেন্স করে চা শ্রমিকদের মজুরি বিবেচনা করে সেটি ঘোষণা করবেন।

তাছাড়া যে কয়েক দিন কর্মবিরতি চলেছে সেই সময়ের মজুরি বাগান মালিকরা শ্রমিকদের দেবেন। অন্য দাবিগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ লিখিতভাবে দেবেন। কিন্তু, পরদিন সোমবার (২২ আগস্ট) একাংশের শ্রমিকরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও অন্যরা তা মেনে না নিয়ে আন্দোলন আরও জোরালো করার ঘোষণা দেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

অভিযুক্ত চাঁদাবাজ আদনানকে আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণ

কুলাউড়ায় চা শ্রমিকদের সড়ক-রেলপথ অবরোধ

আপডেট সময় ০২:৩০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কপথ অবরোধ ও ট্রেন আটকে আন্দোলন করেছেন চা শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে শহরের নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় চৌমুহনীতে সড়কপথ অবরোধ করে শ্রমিকরা এ আন্দোলন শুরু করেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে ওই এলাকায় আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন ঘণ্টাখানেক আটকিয়ে রাখেন শ্রমিকরা।

উপজেলার কালোটি, রাঙ্গিছড়া, রাজানগরসহ কয়েকটি বাগানের সহস্রাধিক শ্রমিক মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে কুলাউড়া-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় চা শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর, কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুস ছালেক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের অবরোধ তুলে নিতে শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করেন।

ঘণ্টাখানেক পর ৫টার দিকে ট্রেন ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন অব্যাহত রাখছেন চা শ্রমিকরা। এর আগে, ২১ আগস্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রাত ৯টার দিকে শুরু করে দিবাগত রাত রাত তিনটা পর্যন্ত চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এ সময় পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া ও বিভাগীয় শ্রম পরিচালক নাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। টানা প্রায় ছয় ঘণ্টা চলা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে একটি লিখিত যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে শ্রমিকরা তাদের নির্ধারিত চলমান ১২০ টাকা মজুরিতেই আজ থেকে কাজে যোগ দেবেন। শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের আবেদন করেছেন। তারা আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী আসন্ন দুর্গাপূজার আগে ভিডিও কনফারেন্স করে চা শ্রমিকদের মজুরি বিবেচনা করে সেটি ঘোষণা করবেন।

তাছাড়া যে কয়েক দিন কর্মবিরতি চলেছে সেই সময়ের মজুরি বাগান মালিকরা শ্রমিকদের দেবেন। অন্য দাবিগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ লিখিতভাবে দেবেন। কিন্তু, পরদিন সোমবার (২২ আগস্ট) একাংশের শ্রমিকরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও অন্যরা তা মেনে না নিয়ে আন্দোলন আরও জোরালো করার ঘোষণা দেন।