ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাকিব কেন বিশ্বসেরা জানালেন নিহাদ

শুক্রবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ৫ রান। তবে সেই ৬ রান প্রথম দুই বলেই তুলে নেন খুলনার ব্যাটাররা। বোলিংয়ে ছিলেন চট্টগ্রামের তরুণ স্পিনার নিহাদুজ্জামান। অবশ্য ম্যাচ শেষে এই স্পিনারের কণ্ঠে ঝরেছে নিজ হাতে ম্যাচ না জেতানোর হতাশা।

সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন সাকিব আল হাসান বল করলে হয়ত এই ম্যাচ তিনি জিতিয়ে দিতেন। নিহাদুজ্জামান বলছিলেন, ‘শেষ দুইটা বিপিএল গ্যাপ গেছে, তো আমার জন্য এটা খুবই একটা বড় সুযোগ। আজকের ম্যাচে হিরো হওয়ার সুযোগ ছিল। প্রত্যেকদিন সবার জীবনে এই সুযোগ আসে না। এখানেই বড় খেলোয়াড় আর ছোট খেলোয়াড়ের পার্থক্য। সাকিব ভাই হলে হয়ত ম্যাচটা জিতিয়ে দিতেন। সে কারণেই সাকিব ভাই বিশ্বসেরা। তবে চেষ্টা করব পরের বার যখন সুযোগ পাব, তখন কাজে লাগানোর, হিরো হওয়ার।’

নিহাদুজ্জামান যোগ করেন, ‘আমি খুব ভালো প্ল্যাটফর্মে ছিলাম। ছোটবেলা থেকে, অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭, ১৯… বিশ্বকাপও খেলেছি, এইচপিতে ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার জীবনে পরপর কয়েকটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। চোটেও পড়েছি আমি। আমার বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছিল। অ্যাকশন পরিবর্তন করতে হয়েছিল। আমি আমার জীবনের খুব বাজে সময় পার করেছি। আমার জন্য ফেরার খুব ভালো প্ল্যাটফর্ম এটা।’

শেষ ওভারে কেমন পরিকল্পনা ছিল তা জানিয়ে নিহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল আমি জায়গাতেই বল করব। কারণ ৬ বলে ৫ রান নিয়ে তো খুব বেশি কিছু সম্ভব না। আমি স্পিনার আমার কাছে সেই সুযোগ নেই যে আমি বাউন্সার মেরে একটা উইকেট মেরে দেব। আমার পরিকল্পনা ছিল ডট বল করার। এরপর বল বাই বল চিন্তা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুই বলেই ছয় হয়ে গেছে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাকিব কেন বিশ্বসেরা জানালেন নিহাদ

আপডেট সময় ০১:১১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

শুক্রবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ৫ রান। তবে সেই ৬ রান প্রথম দুই বলেই তুলে নেন খুলনার ব্যাটাররা। বোলিংয়ে ছিলেন চট্টগ্রামের তরুণ স্পিনার নিহাদুজ্জামান। অবশ্য ম্যাচ শেষে এই স্পিনারের কণ্ঠে ঝরেছে নিজ হাতে ম্যাচ না জেতানোর হতাশা।

সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন সাকিব আল হাসান বল করলে হয়ত এই ম্যাচ তিনি জিতিয়ে দিতেন। নিহাদুজ্জামান বলছিলেন, ‘শেষ দুইটা বিপিএল গ্যাপ গেছে, তো আমার জন্য এটা খুবই একটা বড় সুযোগ। আজকের ম্যাচে হিরো হওয়ার সুযোগ ছিল। প্রত্যেকদিন সবার জীবনে এই সুযোগ আসে না। এখানেই বড় খেলোয়াড় আর ছোট খেলোয়াড়ের পার্থক্য। সাকিব ভাই হলে হয়ত ম্যাচটা জিতিয়ে দিতেন। সে কারণেই সাকিব ভাই বিশ্বসেরা। তবে চেষ্টা করব পরের বার যখন সুযোগ পাব, তখন কাজে লাগানোর, হিরো হওয়ার।’

নিহাদুজ্জামান যোগ করেন, ‘আমি খুব ভালো প্ল্যাটফর্মে ছিলাম। ছোটবেলা থেকে, অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭, ১৯… বিশ্বকাপও খেলেছি, এইচপিতে ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার জীবনে পরপর কয়েকটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। চোটেও পড়েছি আমি। আমার বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছিল। অ্যাকশন পরিবর্তন করতে হয়েছিল। আমি আমার জীবনের খুব বাজে সময় পার করেছি। আমার জন্য ফেরার খুব ভালো প্ল্যাটফর্ম এটা।’

শেষ ওভারে কেমন পরিকল্পনা ছিল তা জানিয়ে নিহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল আমি জায়গাতেই বল করব। কারণ ৬ বলে ৫ রান নিয়ে তো খুব বেশি কিছু সম্ভব না। আমি স্পিনার আমার কাছে সেই সুযোগ নেই যে আমি বাউন্সার মেরে একটা উইকেট মেরে দেব। আমার পরিকল্পনা ছিল ডট বল করার। এরপর বল বাই বল চিন্তা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুই বলেই ছয় হয়ে গেছে।’