ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোমিনুল ইসলামের পিতা মোহাম্মদ হোসেন আর নেই ! নাটোরে বড়াইগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর সাংবাদিক সম্মেলন ‌‘খেলা হবে’ মানসিকতার পরিবর্তন হয় নাই: ববি হাজ্জাজ কুমিল্লায় সীমান্তে ফেন্সিডিলসহ ভারতীয় নাগরিক আটক বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা ছাত্রদের ওপর কঠোর হতে চায় না সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিখোঁজের সাড়ে ৩ মাস পর কৃষিজমি থেকে কঙ্কাল উদ্ধার মঠবাড়িয়ায় দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত আত্রাইকে পরিচ্ছন্ন উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রত্যয়ী ইউএনও কামাল হোসেন দাউদকান্দিতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

মাশরাফি বল হাতে কেন ভয়ঙ্কর জানালেন তাসকিন

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) বল হাতে দারুণ করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়ে আসরের সেরা বোলারের তালিকায় শীর্ষে সিলেটের এই অধিনায়ক। ৩৯ বছর বয়সে এসেও বল হাতে মাশরাফির এমন চমক দেওয়ার রহস্য কী। সে উত্তর অবশ্য দিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

বুধবার বিপিএলের কোনো ম্যাচ না থাকায় দলগুলো অনুশীলনেই সময় কাটিয়েছে। এদিন অনুশীলন শেষে ঢাকা ডমিনেটরসের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তাসকিন। সেখানেই জানালেন  মাশরাফির অভিজ্ঞতা সাহায্য করছে তাকে।

তিনি বলেন, ‘উনার যে লেভেলের অভিজ্ঞতা, ২০-২২ বছর ধরে টপ লেভেলের ক্রিকেট খেলেছেন। এজন্য উনি কী করবে এটা ব্যাটাররা জানা সত্ত্বেও মারতে পারে না। এত সুন্দর, একিউরিসি বা কাটারটা এত ইফেক্টিভ! উনার মতো কিংবদন্তিকে ব্যাখ্যা করার আমার কাছে নাই।’

তাসকিনের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মাশরাফির সঙ্গে তার সম্পর্কটা মধুর। তাদের মধ্যে কথাও হয় নিয়মিত। ঠিক কী ধরণের আলাপ হয় জানতে চাইলে তাসকিন বলছিলেন, ‘সব কথা তো বলার দরকার নাই…। ভেতরে আছে কিছু কথা। টিপস নেই এই আর কী।’

তাসকিন এবার খেলছেন ঢাকা ডমিনেটরসের হয়ে। মঙ্গলবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে এই পেসার ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে সংগ্রহ করেন এক উইকেট। তাসকিনের এমন পারফর্মম্যান্সে জেতেনি তার দল। এ কারণে কি নিজেকে দুর্ভাগা মনে হয়?

জবাবে তাসকিন বলেছেন, ‘আসলে প্রসেসের বাইরে তো কিছুই করার নাই। জিতি বা হারি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এমন, একদিন অনেক ভালো হবে, একদিন একটু খারাপ হবে। হয়তো অন এভারেজ মোটামুটি ভালো হবে। ম্যাচের পর হয়তো ফল আসবে, জয় অথবা হার। পরেরদিন আবার সূর্য উঠবে। আবার প্রসেসেই থাকতে হবে। নিজের কাজগুলো করতে হবে। দুর্ভাগা ভাবার কোনো কোনো সুযোগ নেই। হার বা জয় থাকবেই, তবে নিজের লক্ষ্য ও প্রসেস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

তাসকিন যোগ করেন, ‘যারা আমাদের কোচ আছে। সবারই বেসিক জিনিসগুলো একই। তার থেকে বড় জিনিস একেকজনের একেকরকম বিশেষত্ব থাকে। দিনশেষে একই রকম কথাই ঘুরেফিরে আসে। দিনশেষে একই কথা ঘুরেফিরে আসে, এক্সিউকশনটা গুরুত্বপূর্ণ। চাপের মুখে কে কত ভালো করতে পারে। সেদিক থেকে হয়তো বড় বড় কোচরা সাহায্য করতে পারে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোমিনুল ইসলামের পিতা মোহাম্মদ হোসেন আর নেই !

মাশরাফি বল হাতে কেন ভয়ঙ্কর জানালেন তাসকিন

আপডেট সময় ০৬:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) বল হাতে দারুণ করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়ে আসরের সেরা বোলারের তালিকায় শীর্ষে সিলেটের এই অধিনায়ক। ৩৯ বছর বয়সে এসেও বল হাতে মাশরাফির এমন চমক দেওয়ার রহস্য কী। সে উত্তর অবশ্য দিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

বুধবার বিপিএলের কোনো ম্যাচ না থাকায় দলগুলো অনুশীলনেই সময় কাটিয়েছে। এদিন অনুশীলন শেষে ঢাকা ডমিনেটরসের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তাসকিন। সেখানেই জানালেন  মাশরাফির অভিজ্ঞতা সাহায্য করছে তাকে।

তিনি বলেন, ‘উনার যে লেভেলের অভিজ্ঞতা, ২০-২২ বছর ধরে টপ লেভেলের ক্রিকেট খেলেছেন। এজন্য উনি কী করবে এটা ব্যাটাররা জানা সত্ত্বেও মারতে পারে না। এত সুন্দর, একিউরিসি বা কাটারটা এত ইফেক্টিভ! উনার মতো কিংবদন্তিকে ব্যাখ্যা করার আমার কাছে নাই।’

তাসকিনের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মাশরাফির সঙ্গে তার সম্পর্কটা মধুর। তাদের মধ্যে কথাও হয় নিয়মিত। ঠিক কী ধরণের আলাপ হয় জানতে চাইলে তাসকিন বলছিলেন, ‘সব কথা তো বলার দরকার নাই…। ভেতরে আছে কিছু কথা। টিপস নেই এই আর কী।’

তাসকিন এবার খেলছেন ঢাকা ডমিনেটরসের হয়ে। মঙ্গলবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে এই পেসার ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে সংগ্রহ করেন এক উইকেট। তাসকিনের এমন পারফর্মম্যান্সে জেতেনি তার দল। এ কারণে কি নিজেকে দুর্ভাগা মনে হয়?

জবাবে তাসকিন বলেছেন, ‘আসলে প্রসেসের বাইরে তো কিছুই করার নাই। জিতি বা হারি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এমন, একদিন অনেক ভালো হবে, একদিন একটু খারাপ হবে। হয়তো অন এভারেজ মোটামুটি ভালো হবে। ম্যাচের পর হয়তো ফল আসবে, জয় অথবা হার। পরেরদিন আবার সূর্য উঠবে। আবার প্রসেসেই থাকতে হবে। নিজের কাজগুলো করতে হবে। দুর্ভাগা ভাবার কোনো কোনো সুযোগ নেই। হার বা জয় থাকবেই, তবে নিজের লক্ষ্য ও প্রসেস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

তাসকিন যোগ করেন, ‘যারা আমাদের কোচ আছে। সবারই বেসিক জিনিসগুলো একই। তার থেকে বড় জিনিস একেকজনের একেকরকম বিশেষত্ব থাকে। দিনশেষে একই রকম কথাই ঘুরেফিরে আসে। দিনশেষে একই কথা ঘুরেফিরে আসে, এক্সিউকশনটা গুরুত্বপূর্ণ। চাপের মুখে কে কত ভালো করতে পারে। সেদিক থেকে হয়তো বড় বড় কোচরা সাহায্য করতে পারে।’