বোরহানউদ্দিনের কুতুবা ৬নং ওয়ার্ডের বুড়ি বাড়ি জামে মসজিদের ভোগ দখলীকৃত জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সিকদারের বিরুদ্ধে। তিনি মোজাম্মেল হক সিকদারের ছেলে। সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি: সকালে বুড়ি বাড়ি জামে মসজিদে ও সরেজমিনে গিয়ে এমনটাই জানা গেছে।
স্থানীয় মুসুল্লিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,বুড়ি বাড়ি জামে মসজিদ অনেক পুরানো একটি মসজিদ। এটি কেবল মাত্র ৫শতাংশ জমির উপর নির্মাণাধীন হয়েছে। ৫ শতাংশ মসজিদের নামে রেকর্ড আছে। কিন্তু সামনে মাঠ ও উত্তরের মাদ্রাসা, মক্তব ঘরের অংশ মসজিদের নামে রেকর্ড না করে ঐ অংশটি হাবিবুর রহমান সিকদারের নামে রেকর্ড হওয়ায় বিরোধ দেখা দিয়েছে। বর্তমান মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ বশির মির(৭২) পিতা সুলতান মীর বলেন, আমারা ছোট থেকে এই মসজিদে নামাজ পড়ি, মসজিদের সামনের মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করি,পুকুরের ঘাটলা ও মক্তব, মাদ্রাসা, টয়লেট ব্যাবহার করে আসছি, আমাদের মসজিদের সাবেক সভাপতি, হাবিবুর রহমান সিকদার ৫৫ বছর একটানা সভাপতি থাকাকালীন আমরা দেখেছি তিনি মসজিদ পরিচালনা করেন, কিন্তু তিনি সভাপতি পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর দেখতে পেলাম, মসজিদের সামনের মাঠ,মক্তব, মাদ্রাসা, ঘাটলা , মুল মসজিদের ৫ শতাংশ জমি ব্যাতিত সব হাবিবুর রহমান সিকদার ও তার ছেলেদের নামে রেকর্ড করা।
আমরা শঙ্কিত যে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এ জমি নিয়ে বিরোধ করবে।তাহার ছেলেরা এক সময় মসজিদের মাঠ ও কবরস্থান দখল করবে। আমরা এর সুস্থ সমাধান চাই। মোঃ বাহারুল (৫৬) পিতা মোঃ ফরিদ বলেন,আমার দাদি ৫৪১ দাগে কুতবা মৌজার ৪৬৮ খতিয়ানে ১৪ শতাংশ মসজিদে দান করেন,এই খতিয়ানে আরো ৬ শতাংশ সহ মোট ২০ শতাংশ জমি মসজিদের প্রাঙ্গণে, আরো বিভিন্ন দাগে প্রায় এক একর জমি মসজিদের নামে রয়েছে, যার পুরো পুরি হিসাব আমাদের সাবেক সভাপতি দেয় নি।মসজিদের সামনের জমি সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সিকদার তার ছেলের নামে রেকট করে নেয়।
মসজিদের মাঠ, পুকুর, ঘাটলা, মক্তব মাদ্রাসা কবরস্থান ৩১৭৮ ডি পি ৫৪৩/৫৪২ দাগে হাবিবুর রহমান সিকদার ও তার ছেলেদের নামে রেকর্ড করা। এবিষয়ে জানতে চাইলে বুড়ি বাড়ি জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সিকদার বলেন,আমি ৫৫ বছর সভাপতি ছিলাম। মসজিদের সকল উন্নয়ন, আয় ব্যায় আমি দেখেছি, মসজিদের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ জমি রয়েছে, যার কিছু কিছু দলিল আমার কাছে আছে। মসজিদ যেই ৫ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত সেই জমি কিভাবে এলো জানিনা, তবে যারা মসজিদে জমি দান করেছেন বিভিন্ন খতিয়ানে মসজিদ তা ভোগ করে, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে কুতবা ইউনিয়ন।
এ বিষয়ে ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার, কামাল পন্ডিত এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মসজিদের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলছে বিষয়টা আমি জানি, তবে মসজিদ কমিটির লোক যদি সাবেক সভাপতি কে জিজ্ঞেস করে তখন তিনি বলেন জমি নামে-বেনামে আছে, আবার বলেল জমি মসজিদের নামে আছে, বিষয়টা খুবই রহস্য জনক এই বিরোধ নিয়ে মামলা চলতেছে।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সহকারী স্যাটেলম্যান্ট অফিসার, খান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধ, মামলা হয়েছে, আমি তদন্ত করে আসছি, সব কিছু পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দিবো।