ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে শিক্ষা ও গবেষনায় প্রাধান্য দিতে হবে: উপাচার্য সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন করা,তারা নির্বাচনের ব্যাপারেও নাই আবার দেশ পরিচালনায়ও নাই গয়েশ্বর চন্দ্র রায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন শেখ হাসিনা ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে বলেন জামান কামাল নুরুদ্দিন মোল্লা জামালপুর জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের প্রতিবাদ নবীনগর পূর্ব ৬ ইউনিয়নে সরিষা চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে পাংশায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ কিশোরের মৃত্যু সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া ধরার অপরাধে ২ জেলে আটক কমলনগরে ইউপি চেয়ারম্যান জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন না করলেও নিজে দু’টি ব্রিকফিল্ডের মালিক

ডেঙ্গু হলে করণীয়

বেশ কিছু দিন ধরেই ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

একটু সতর্ক হলেই ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে বাসায় থেকেই আরোগ্য লাভ করা যায়। এটাও মনে রাখতে হবে, জটিলতা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চললে সহজেই এ রোগের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য করণীয় :
১. প্রচুর পরিমাণে মুখে ওরস্যালাইন ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে (অন্তত তিন লিটার দৈনিক)।
২. জ্বর/ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়ানো।
৩. রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা।
৪. রোগীকে দিনের বেলায় মশারির ভিতর রাখা।
৫. বাড়ির আশপাশের মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা।
৬. নিম্নলিখিত বিপদচিহ্ন দেখামাত্র অনতিবিলম্বে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো।

ডেঙ্গু রোগীর বিপদচিহ্নগুলো :
১. পেটে তীব্র ব্যথা হওয়া।
২. খুব বেশি বমি হওয়া বা বমি না থামা।
৩. মুখে একেবারেই খেতে না পারা।
৪. তন্দ্রাভাব বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
৫. খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়া।
৬. হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া।
৭. বুক ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হওয়া।
৮. শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া (মহিলাদের মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যাওয়া)।
৯. আলকাতরার মতো নরম কালো পাতলা পায়খানা হওয়া।
১০. ৪-৬ ঘণ্টার বেশি সময় প্রস্রাব না হওয়া।

 

বর্জনীয় কাজগুলো :
১. বিএমডিসি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনো ওষুধ না সেবন করা।
২. মাংসপেশিতে কোনো ইঞ্জেকশন না নেওয়া।
৩. অযথা আতঙ্কিত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়া।
৪. সুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারি কোনো কাজ না করা।

লেখক: সিনিয়র রেসিডেন্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে শিক্ষা ও গবেষনায় প্রাধান্য দিতে হবে: উপাচার্য

ডেঙ্গু হলে করণীয়

আপডেট সময় ০৩:১৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বেশ কিছু দিন ধরেই ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

একটু সতর্ক হলেই ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে বাসায় থেকেই আরোগ্য লাভ করা যায়। এটাও মনে রাখতে হবে, জটিলতা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চললে সহজেই এ রোগের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য করণীয় :
১. প্রচুর পরিমাণে মুখে ওরস্যালাইন ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে (অন্তত তিন লিটার দৈনিক)।
২. জ্বর/ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়ানো।
৩. রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা।
৪. রোগীকে দিনের বেলায় মশারির ভিতর রাখা।
৫. বাড়ির আশপাশের মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা।
৬. নিম্নলিখিত বিপদচিহ্ন দেখামাত্র অনতিবিলম্বে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো।

ডেঙ্গু রোগীর বিপদচিহ্নগুলো :
১. পেটে তীব্র ব্যথা হওয়া।
২. খুব বেশি বমি হওয়া বা বমি না থামা।
৩. মুখে একেবারেই খেতে না পারা।
৪. তন্দ্রাভাব বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
৫. খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়া।
৬. হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া।
৭. বুক ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হওয়া।
৮. শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া (মহিলাদের মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যাওয়া)।
৯. আলকাতরার মতো নরম কালো পাতলা পায়খানা হওয়া।
১০. ৪-৬ ঘণ্টার বেশি সময় প্রস্রাব না হওয়া।

 

বর্জনীয় কাজগুলো :
১. বিএমডিসি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনো ওষুধ না সেবন করা।
২. মাংসপেশিতে কোনো ইঞ্জেকশন না নেওয়া।
৩. অযথা আতঙ্কিত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়া।
৪. সুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারি কোনো কাজ না করা।

লেখক: সিনিয়র রেসিডেন্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।