কুমিল্লার চান্দিনায় এসএসসি/দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রে ঢুকে নকল সরবরাহের দায়ে এক যুবকের ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চান্দিনার বদরপুর নেছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত ইউনুস (২৭) উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এসএসসি /দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বদরপুর নেছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভেতরে ওই যুবককে সন্দেহ করে কর্তব্যরত পুলিশ। পরে প্রথম তাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে খবর দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে আসে।
এসময় তার কাছে থাকা ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত তার বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল সরবরাহের অভিযোগ এনে ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। সূত্র জানায়, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ২শ গজের মধ্যে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সমাধান এবং নকল সরবরাহ করছিল ওই যুবক। এদিকে একই দিনে উক্ত কেন্দ্র হতে টামটা দাখিল মাদ্রাসার মোঃ ফয়সাল হোসেন নামের এক পরীক্ষার্থীকে ইংরেজী ২য় পত্রের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বদরপুর নেছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব আব্দুল হাই বলেন,ইউনুস নামের ওই যুবক ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে নকল সরবরাহের চেষ্টা করতেই দায়িত্বে থাকা পুলিশ তাকে আটক করে।পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই যুবকের ২৫ দিনের জেল দেন।পাশাপাশি অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে এক পরীক্ষার্থীকেও বহিষ্কার করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মজুমদার জানান,পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ২শ গজের মধ্যে চলাচল নিষিদ্ধ। এই নিষেধ অমান্য করে ওই যুবক নকল সরবরাহের চেষ্টা করলে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আইনে তাকে ২৫ দিনের জেল দেয়া হয় এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।