ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বগুড়ার ধুনটে শেষ হলো তিনদিনের ইজতেমা

দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ইজতেমা। নিজাম উদ্দিনের অনুসারীদের এ ইজতেমা ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মেহমানদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি হজরত মনির বিন ইউসুফ। আখেরি মোনাজাতে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করেন মুসল্লিরা। ইজতেমায় অংশ নিতে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা শরিক হয়েছিলেন। হাজারও মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় ইজতেমা ময়দান। কনকনে শীত উপেক্ষা করে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে।

মাঠ ছাড়িয়ে রাস্তা ও আশপাশের এলাকায় যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন বসে পড়েছেন মোনাজাতে অংশ নিতে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের এই আগমন অব্যাহত ছিল। মোনাজাত শেষে তাবলিগ জামাতের লোকজন ইসলামের দাওয়াতি কাজে ছড়িয়ে পড়েন দেশজুড়ে। প্রতিদিন ফজর, জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজের পর দেশ ও বিদেশের মুরব্বিরা বয়ান পেশ করেছেন। ইজতেমায় বেশিরভাগ বয়ান বাংলা ভাষায় করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি মুরব্বিরা আরবি ও ইংরেজি ভাষায় বয়ান করেছেন। সেগুলো দোভাষীর সাহায্যে বাংলায় অনুবাদ করে মুসল্লিদের শোনানো হয়েছে। ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমা শেষ হয়েছে। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এই ইজতেমা থেকে ১৫টি তাবলীগ জামাত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাওয়াতি কাজে বেড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তিন দিনব্যাপী ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বগুড়ার ধুনটে শেষ হলো তিনদিনের ইজতেমা

আপডেট সময় ০৫:২৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ইজতেমা। নিজাম উদ্দিনের অনুসারীদের এ ইজতেমা ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মেহমানদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি হজরত মনির বিন ইউসুফ। আখেরি মোনাজাতে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করেন মুসল্লিরা। ইজতেমায় অংশ নিতে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা শরিক হয়েছিলেন। হাজারও মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় ইজতেমা ময়দান। কনকনে শীত উপেক্ষা করে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে।

মাঠ ছাড়িয়ে রাস্তা ও আশপাশের এলাকায় যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন বসে পড়েছেন মোনাজাতে অংশ নিতে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের এই আগমন অব্যাহত ছিল। মোনাজাত শেষে তাবলিগ জামাতের লোকজন ইসলামের দাওয়াতি কাজে ছড়িয়ে পড়েন দেশজুড়ে। প্রতিদিন ফজর, জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজের পর দেশ ও বিদেশের মুরব্বিরা বয়ান পেশ করেছেন। ইজতেমায় বেশিরভাগ বয়ান বাংলা ভাষায় করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি মুরব্বিরা আরবি ও ইংরেজি ভাষায় বয়ান করেছেন। সেগুলো দোভাষীর সাহায্যে বাংলায় অনুবাদ করে মুসল্লিদের শোনানো হয়েছে। ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমা শেষ হয়েছে। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এই ইজতেমা থেকে ১৫টি তাবলীগ জামাত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাওয়াতি কাজে বেড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তিন দিনব্যাপী ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।