যে কোনো উৎসবের মৌসুমে ডায়াবেটিস রোগীদের বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়। দেখা যায় নিজেকে সংযত রেখেও বন্ধু, পরিবার, আত্মীয় সকলের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে খেয়ে ফেলেছেন নানা রকম।
আর এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে গেলে শুধু ওষুধ খেয়ে গেলেই হবে না। নিজের শরীর, খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চার বিষয়েও সচেতন হতে হবে।
আরও যেসব বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন
উৎসবের মৌসুমে খাওয়া-দাওয়া হয়েছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ফলে শর্করার পরিমাণও বেড়েছে রক্তে। এখন যদি আগের মতোই ওষুধ খেতে থাকেন তবে হয়তো ভালো ফল নাও পেতে পারেন। এ জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে- রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
শরীরে পানির অভাব হলে নানা রকম রোগের উৎপত্তি হয়। রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে গেলেও পানি খাওয়া জরুরি। প্রতি দিন অন্তত ৬ থেকে ৭ গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করা থাকার ফলে যদি কিডনির সমস্যা দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পানি মেপে খেতে হবে।
শাক-সব্জি, দানাশস্য সব কিছুতেই প্রাকৃতিক চিনি থাকে। সুতরাং সারা দিনে আপনি কী খাবেন বা কতটা খাবেন, তার ওপর নির্ভর করবে রক্তের শর্করার মাত্রা। এক্ষেত্রে কিভাবে ভারসাম্য বজায় রেখে খাবার খাবেন, তার পরিকল্পনা আগে থেকে করে রাখাই ভালো।
শরীরচর্চার বিকল্প নেই। সেটিও যদি একেবারেই করতে না পারেন প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ১০ মিনিট হাঁটাহাটি বন্ধ করা যাবে না। সারা দিনে যা খাচ্ছেন তার মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। সাধারণ বাড়ির খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। এতে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এ লেখাতে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কেবল প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে, এ বিষয়ে আরও জানতে ও চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।