প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প থেকে ঘর পেয়ে ভূমিহীন ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো বেজায় খুশি। এই পরিবারগুলো এতদিন খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন-যাপন করছিল।
এখন তারা ঘর পেয়ে অন্তত পরিবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁচার আশা পেয়েছে। সরকারের আশ্রায়ন প্রকল্প একটি ভালো উদ্যোগ বলা যেতে পারে। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর ও বসবাসের জায়গায় শাক-শবজি চাষ, হাঁস-মুরগি পালন ও গবাদিপশু পালন, মৎস্য চাষ ইত্যাদি কর্মমুখী কাজ করে নিজেদের স্বাবলম্বি হওয়ার সুযোগ হয়েছে।
কিছুদিন আগে পিরোজপুর জেলার রাজারকাঠি গ্রামের ১৮টি ভূমিহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘর পেয়ে তারা বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। এতদিন তারা দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করতো। সংসারে দুঃখ কষ্টের সীমা ছিল না। হানু মাঝি ও ফরিদা বেগম দম্পত্তির এক ছেলে ও এক মেয়ের সংসার। খুব কষ্টেই তাদের জীবন চলতো। সুখের কথা তো ভাবাই যায় না।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে হানু মাঝি ও ফরিদা বেগম আজ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে। নিজেদের আঙ্গিনায় হাঁস-মুরগি পালন, গবাদি পশু পালন, শাক-সবজি, ফল-মুল চাষ এমনকি মৎস্য খামার করে জীবিকা অর্জন করছে। আসলে বলতে গেলে সরকারের আমার বাড়ী, আমার খামার, আশ্রায়ন প্রকল্প ও গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পগুলো গ্রামের ভূমিহীন ও হতদরিদ্র পরিবারগুলোর বাঁচার পথ দেখাচ্ছে। এইভাবে সারাদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের ধারায় আনতে পারলে সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠন সম্ভবপর হবে।
হানু মাঝির মতো ঐচর অঞ্চলের ১৮টি হতদরিদ্র পরিবার স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। সত্যিই সরকারের এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ জনপদে যেমন সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে, দেশ ও জাতির কল্যাণ নিশ্চিত হবে।