সোমবার দুপুর ১২টা ১৫মিনিটে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত মাহাবুর হোসেন শিবগঞ্জের কিশোরীপুর নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কসমেটিকস ও খেলনা সামগ্রীর ব্যবসা করতেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীপুর নামাপাড়া পুরোনো মসজিদের নামে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ৫৬ শতক জমি দান করেন।একই গ্রামের কিছু লোক নতুন মসজিদ তৈরি করেন এবং ৫৬ শতক জমি নতুন মসজিদের বলে দাবি করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৭ জুলাই উভয় পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে পুরোনো মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন, মুসল্লি মাহবুরসহ পাঁচজন আহত হন। আহতদের তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আহতদের মধ্যে মাহবুর মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। বেশ কিছুদিন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি রাখা হয়। পরে নিজ বাড়িতে নিয়ে মাহবুরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
পরবর্তীতে গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে তিনি মারা যান। একইদিন সন্ধ্যায় মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন ১৮ জুলাই পুরোনো মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মাহাবুর মারা গেলে বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৮ নভেম্বর ওই মামলায় ৩০২ ধারা সংযুক্ত করে মরদেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
আজ দুপুরে আদালতের নির্দেশে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোকামতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক রিপন মিঞার উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।