শীত এলে’ই বিভিন্ন জেলার মতোই ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে যায়। এবারও শীত মৌসুমে লালমোহন বাজারের উত্তর বাজার অটোস্ট্যান্ড শীতের পিঠা বিক্রির করছেন মোঃ আবুতাহের। পিঠা বিক্রেতা মোঃ আবুতাহের-(৫২) উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কায়েজ উদ্দিন মাতব্বর বাড়ির সন্তান।
আবু তাহের জানান, শীত মৌসুমে অধিকাংশ মানুষদের পছন্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দের পিঠা হলো ভাপা ও চিতই পিঠা। এই পিঠার কদর সবচেয়ে বেশি। প্রতি পিস চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা পাঁচ টাকা করে বিক্রি করি। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মতো আয় হয়। যা তিনি সংসারের জন্য ব্যয় করেন। তার পরিবারে ৬ জন সদস্য রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে তার দুইজন পুত্র সন্তান ও দুইজন কন্যা সন্তান।
দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে এক কন্যার বিবাহ দিতে সক্ষম হন তিনি। তবে দ্বিতীয় কন্যা সন্তান অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার দুই পুত্র সন্তানের মধ্যে একজন নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করলেও বিয়ের কিছুদিন পরে বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যায়। দ্বিতীয় পুত্র সন্তান নিজের টাকা পয়সা নিজের কাজে ব্যায় করেন। ভাগ্যের কি পরিহাস মাথার গাম পায়ে ফেলে পরিশ্রমের উপার্জিত পয়সা দিয়ে আদরের সন্তানদের লালন-পালন করে আজও পিঠা বিক্রেতা মোঃ আবু তাহের মিয়ার ভাগ্যে মেলেনি শান্তির একটু ছোঁয়া। শীত মৌসুম শেষ হলে তিনি এ পেশার পরিবর্তন করে ভ্যানে করে বিভিন্ন ফল ও শাক সবজি বিক্রি করেন। পিঠা বিক্রেতারা আবু-তাহের জানান, ভাপা পিঠা তৈরির উপকরণ হচ্ছে চালের গুঁড়া, নারকেল ও গুড়। গোল আকারের পাতিলে কাপড় পেচিয়ে ঢাকনা দিয়ে পাতিলের ফুটন্ত পানিতে ভাপ দিয়ে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। অন্য দিকে চালের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে মাটির সাচে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয় চিতই পিঠা। এই পিঠা বিক্রি চলবে শীত মৌসুম পর্যন্ত।