বগুড়ায় মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন রাইস মিলে প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন ধান অবৈধভাবে মজুদের প্রমাণ মিলেছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায় অভিযান শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, বগুড়া সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায় মেঘনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেডের নির্মাণাধীন অটো রাইস মিল রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মিলে একাধিক ট্রাকে ধান আসছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অভিযান চালান।
এসময় ৩৪ ট্রাকে প্রায় ৬৫০ টন এবং মিল ক্যাম্পাসে এক হাজার ৪৫০ টন ধান পাওয়া যায়। এসব ধান মজুদ এবং মিল চালুর কোনো বৈধ লাইসেন্স না থাকায় ধানগুলোকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়। এ বিষয়ে তানভীর ফুড লিমিটেডের সিনিয়র ডিজিএম প্রকৌশলী কেতাউর রহমান বলেন, ‘আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মিলে পরীক্ষামূলক ধান ভাঙ্গা শুরু হবে। মিলে প্রতি ঘণ্টায় ৪০ মেট্রিক টন ধান প্রয়োজন।
তাই এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ধান ট্রাকে করে আনা হয়েছে। লাইসেন্স না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এই সপ্তাহের মধ্যেই সব ধরনের লাইসেন্স পেয়ে যাব। এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে ধান মজুদ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ধান মজুদ, মিল চালু, পাইকারি বা খুচরা এমনকি আমদানিকারকের কোনো লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। এই ধানগুলোকে অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।