ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

তাসবিহে ফাতেমি কী? পড়লে যে সওয়াব হয়

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে এবং ঘুমানোর আগে (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্ এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার পড়ার কথা হাদিসে রয়েছে। একে তাসবিহে ফাতেমি বলা হয়। এর বিশেষ সওয়াব রয়েছে। এই তাসবিহগুলোর প্রত্যেকটিতে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসামূলক বাক্য রয়েছে। এই তাসবিহ প্রচলনের পেছনে বিশেষ একটি ঘটনা রয়েছে।

হাদিস থেকে জানা যায়- নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের সদস্য ও মেয়েদের মধ্যে সব থেকে আদরের ছিলেন হজরত ফাতেমা রা.। তিনি সংসারের সব কাজ নিজ হাতেই করতেন। হজরত আলী রা. বলেন, একবার গমের চাক্কি পেষণ করতে করতে ফাতেমা রা.-এর হাতে ফসকা পড়ে যায়, এতে তার কাজ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল।

আলী রা. বলেন, আমি হজরত ফাতেমা (রা.)-কে বললাম, যদি তুমি তোমার বাবার কাছে গিয়ে একজন খাদেম চেয়ে নাও, তাহলে ভালো হয়।  এতে তোমার কাজকর্ম করতে সুবিধা হবে।

হজরত ফাতেমা রা. রাসুল (সা.)-এর কাছে গেলেন, কিন্তু  সেখানে অনেকের ভিড় থাকায় ফিরে এলেন। পরদিন রাসুল (সা.) নিজেই মেয়ের বাড়িতে এসে বললেন, ‘গতকাল তুমি কী কাজে গিয়েছিলে?’ তিনি চুপ হয়ে গেলেন (লজ্জায় কথা বলতে পারলেন না)।

একথা শুনে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ফাতেমা! আল্লাহকে ভয় করো, এবং তাঁর হুকুম-আহকাম পালন করো, আর ঘরের কাজকর্ম করতে থাকো।

আল্লাহর রাসুল (সা.) তার মেয়ে ফাতেমা রা. ও জামাতা হযরত আলী রা.-কে আরও বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু বলে দেবো না— যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্ এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার বলবে; তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।’ -(বুখারি, হাদিস : ৩৭০৫)’

এ কথা শুনে ফাতেমা (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর নির্ধারিত ভাগ্য এবং তাঁর রাসুলের প্রস্তাবে সন্তুষ্ট’। (বুখারি (ইফা), হাদিস : ৩৪৪০)

আরেক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফুফাতো বোনের ঘটনাও এভাবেই এসেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দুই বোন ও রাসুল (সা.)-এর কন্যা হজরত ফাতেমা (রা.) মিলে রাসুল (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হলাম। আমরা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরে একজন খাদেম চাইলাম।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘খাদেম দেওয়ার ক্ষেত্রে তো বদরের পুত্রহারা সন্তান তোমার চেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। আমি তোমাদের খাদেমের চেয়েও অধিক উত্তম জিনিস বলব। প্রত্যেক নামাজের পর এই তিনটি শব্দ অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার আর একবার এই দোয়া পড়বে—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির। -(মুসলিম, হাদিস : ১২৩৯)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

তাসবিহে ফাতেমি কী? পড়লে যে সওয়াব হয়

আপডেট সময় ১২:৫৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে এবং ঘুমানোর আগে (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্ এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার পড়ার কথা হাদিসে রয়েছে। একে তাসবিহে ফাতেমি বলা হয়। এর বিশেষ সওয়াব রয়েছে। এই তাসবিহগুলোর প্রত্যেকটিতে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসামূলক বাক্য রয়েছে। এই তাসবিহ প্রচলনের পেছনে বিশেষ একটি ঘটনা রয়েছে।

হাদিস থেকে জানা যায়- নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের সদস্য ও মেয়েদের মধ্যে সব থেকে আদরের ছিলেন হজরত ফাতেমা রা.। তিনি সংসারের সব কাজ নিজ হাতেই করতেন। হজরত আলী রা. বলেন, একবার গমের চাক্কি পেষণ করতে করতে ফাতেমা রা.-এর হাতে ফসকা পড়ে যায়, এতে তার কাজ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল।

আলী রা. বলেন, আমি হজরত ফাতেমা (রা.)-কে বললাম, যদি তুমি তোমার বাবার কাছে গিয়ে একজন খাদেম চেয়ে নাও, তাহলে ভালো হয়।  এতে তোমার কাজকর্ম করতে সুবিধা হবে।

হজরত ফাতেমা রা. রাসুল (সা.)-এর কাছে গেলেন, কিন্তু  সেখানে অনেকের ভিড় থাকায় ফিরে এলেন। পরদিন রাসুল (সা.) নিজেই মেয়ের বাড়িতে এসে বললেন, ‘গতকাল তুমি কী কাজে গিয়েছিলে?’ তিনি চুপ হয়ে গেলেন (লজ্জায় কথা বলতে পারলেন না)।

একথা শুনে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ফাতেমা! আল্লাহকে ভয় করো, এবং তাঁর হুকুম-আহকাম পালন করো, আর ঘরের কাজকর্ম করতে থাকো।

আল্লাহর রাসুল (সা.) তার মেয়ে ফাতেমা রা. ও জামাতা হযরত আলী রা.-কে আরও বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু বলে দেবো না— যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্ এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার বলবে; তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।’ -(বুখারি, হাদিস : ৩৭০৫)’

এ কথা শুনে ফাতেমা (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর নির্ধারিত ভাগ্য এবং তাঁর রাসুলের প্রস্তাবে সন্তুষ্ট’। (বুখারি (ইফা), হাদিস : ৩৪৪০)

আরেক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফুফাতো বোনের ঘটনাও এভাবেই এসেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দুই বোন ও রাসুল (সা.)-এর কন্যা হজরত ফাতেমা (রা.) মিলে রাসুল (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হলাম। আমরা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরে একজন খাদেম চাইলাম।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘খাদেম দেওয়ার ক্ষেত্রে তো বদরের পুত্রহারা সন্তান তোমার চেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। আমি তোমাদের খাদেমের চেয়েও অধিক উত্তম জিনিস বলব। প্রত্যেক নামাজের পর এই তিনটি শব্দ অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার আর একবার এই দোয়া পড়বে—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির। -(মুসলিম, হাদিস : ১২৩৯)