প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের আগে-পরে ১২ রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে, যার গুরুত্ব অপরিসীম। শরীয়তের পরিভাষায় সুন্নত বলা হয়, ওই আদেশমূলক বিধানকে, যা ফরজ-ওয়াজিবের মতো অপরিহার্য না হলেও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিয়মিত আমল থেকে তা প্রমাণিত। -(ফিকহুস সুন্নাহ, ১৬০)
সুন্নতে পাশাপাশি নফল নামাজও হাদিস থেকে প্রমাণিত। এই নামাজ মানুষের পরকালীন জীবনে বিশেষ উপকার দেবে। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেন-
‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, …বান্দা যা কিছু দিয়ে আমার নৈকট্য লাভ করে থাকে তার মধ্যে আমার কাছে প্রিয়তম হল সেই ইবাদত, যা আমি তার উপর ফরজ করেছি। আর সে নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে। পরিশেষে আমি তাকে ভালোবাসি। অতপর আমি তার শোনার কান হয়ে যাই, তার দেখার চোখ হয়ে যাই, তার ধরার হাত হয়ে যাই, তার চলার পা হয়ে যাই! সে আমার কাছে কিছু চাইলে আমি অবশ্যই তাকে তা দান করি।… (বুখারী, হাদিস ৬৫০২)
নামাজের নিষিদ্ধ সময় ছাড়া দিন-রাতের যেকোনও সময় নফল নামাজ পড়া যায়। ফরজ, সুন্নতের বাইরে নফল নামাজ আলাদা দুই রাকাত করে পড়া হয় তবে কেউ চাইলে সুন্নত নামাজের মধ্যেও নফলের নিয়ত করতে পারবে।
ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদদের মতে, সুন্নত নামাজে নফলের নিয়ত করার অবকাশ আছে। যেমন, কেউ চাইলে মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে আওয়াবিনের (মাগরিবের পরের নফল নামাজ) নিয়ত করতে পারবে এবং মাগরিবের সুন্নত ছাড়াও অন্য যেকোনও সুন্নত নামাজে নফল, সালাতুল হাজত ও সালাতুশ শোকরের নিয়ত করতে পারবে। তবে উত্তম হলো সুন্নত, নফল, সালাতুল হাজত, সালাতুশ শোকর আলাদা আলাদ আদায় করা। (বুখারি : ১/৬, তিরমিজি : ১/৫৫৯, মিরকাত : ৩/৮৯৪)