মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, অনেকে বলে এক অজ্ঞাতনামা মেজরের বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত স্বাধীনতা পাঠের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। খলনায়ক খলনায়কই থেকে যায়, কখনো আসল নায়ক হতে পারে না। জিয়াউর রহমান সারাজীবন ইতিহাসের খলনায়কই হয়ে থাকবে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমিতে বিজয় দিবসের আয়োজনে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করেন। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম করে ১৬ই ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন শিশুরা যদি শিক্ষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং খেলাধুলার যথাযথ সুযোগ পায় তাহলে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ ও মানুষকে ভালোবেসে নিজেদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবনগর সরকারের প্রচার শাখার চিত্রশিল্পী বীরেন সোম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল ও শিশু অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।
আলোচনা পর্ব শেষে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জাতীয় পর্যায়ে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।