গাইবান্ধা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, গাইবান্ধা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী শাহিনের উপর হামলা চালিয়ে মারাত্বক জখম করে মাদক ব্যাবসায়ীর গড ফাদার সৈকত ।
গতকাল রবিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় গাইবান্ধা শহরে মাস্টার পাড়ায় মেরি স্টপ ক্লিনিকের সামনে মাদক সম্রাট সৈকত তার দল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধাড়ালো অস্ত্র নিয়ে শাহিনের উপর হামলা চালায়। স্থানীয় লোকজন শাহিনের চিৎকার শুনে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে শরীরের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এক মাদক থেকে গাইবান্ধা সদর থানা কোটি টাকা মাসোহারা নেয়। আর নির্বিঘ্নে মাদক ব্যাবসা চালাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। মাদক ব্যাবসায়ী ও সেবন কারীদের কাছে জিম্মি প্রতিটি এলাকার মানুষ। সামপ্রতীক সময়ে সদর থানার কুপতলা ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ ছাত্র/ছাত্রীরা ও শুসিল সমাজ মাদকের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করে। কিন্তু গাইবান্ধা সদর থানার পুলিশ মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের মাসোহারা খেয়ে মাদক ব্যাবসা করার সুযোগ করে দিয়ে আসছে নির্বিঘ্নে।
তারই খেশারত স্বরুপ আরিফুল ইসলাম চৌধুরী শাহিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা করে। মাদকের অভয় অরণ্য গাইবান্ধা পুলিশের ব্যাপক ঘুষ দূর্নীতির কারণে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া এর আগেও মাদক সম্রাট সৈকত গ্রেফতার হয়েছিলো বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে। গত ১৭ জুলাই ভূমি দস্যু কতৃক গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝাড় ইউনিয়নের খোলাবাড়ী গ্রামের নুরনবীসহ বেশ কয়েকজনকে মারাত্বক আহত করে সন্ত্রাসীরা। ২৭ শে আগষ্ট রংপুর মেডিকেলে নুরন্নবী মিয়ার মৃত্যূ হয়। ভূমি দস্যু কতৃক আহত নিহত হওয়ার পরেও পুলিশ মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে আসামী গ্রেফতার করছেন না বলে জানিয়েছেন এলাকার স্থানীয় লোকজন।
উল্লেখ্য, পুলিশ ব্যাপকভাবে ঘুষ দূর্নীতি বিভিন্ন দালাল দ্বারা স্বজনপ্রীতির তদবীরের কারণে গাইবান্ধার আইন শৃংখলার চরম অবনতী হয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করছে গাইবান্ধার সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষ। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওহিদুল ইসলামের সাথে মুঠফোনে কথা বললে তিনি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানান, আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে । আমরা খুব তারাতারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করবো।
মোঃ মুক্তা মিয়া, গাইবান্ধা 






















