এবারের বিশ্বকাপে দলের প্রয়োজনের সময় গোল করাটাকে যেন অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন কোডি গ্যাকপো। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই গোল করে পিঠ বাঁচিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের। তৃতীয় ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম ঘটলো না। ম্যাচের প্রথম গোল করে ডেডলক ভাঙার কাজটি তিনিই করলেন যথারীতি। পরে ফ্রেংকি ডি ইয়ং আরেক গোল করে সহজ জয় নিশ্চিত করেছেন ডাচদের।
‘এ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার স্বাগতিক দল কাতারের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল নেদারল্যান্ডস। আল বাইত স্টেডিয়ামে ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে লুই ফন খালের দল। ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিকদের রক্ষণে চড়াও হতে থাকে ডাচরা। চতুর্থ ও চতুর্দশ মিনিটে আসে দুটো সুযোগও। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে জালে বল জড়াতে পারেনি ডাচরা। শেষমেষ সে অভাব পূরণ করেন গ্যাকপো।
২৬তম মিনিটে ডেভি ক্লাসেনের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে চার পাশে ঘিরে থাকা প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন গ্যাকপো, এরপর ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। এই গোলে নেদারল্যান্ডসের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে জালের দেখা পেলেন গ্যাকপো।
শুধু গোল করাতেই তো ক্ষান্ত হননি গ্যাকপো। ম্যাচ মেকিং ও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার ক্ষেত্রে রেখেছেন বিশাল ভূমিকা। গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে খেলেও ৮৪ শতাংশ পাস দিয়েছেন নিখুঁতভাবে। এছাড়া ৪টি ক্রসও করেছেন গোলমুখে সতীর্থকে বল পাইয়ে দিতে। তার এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নক আউটের টিকেট পাওয়াটা বেশ সহজ হয়ে গিয়েছে ডাচদের জন্য।