ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঞ্চল্যকর জালিয়াতি: ‘নামের কারণে’ ১৪ বছর চাকরি করছেন ফেল করা ব্যক্তি অনাগত সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারলেন না আলিফ মুসলিম বীর টিপু সুলতানকে কেন হিন্দুবিদ্বেষী প্রমাণ করতে চায় বিজেপি? জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস জরুরি অবস্থা জারি ও ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেস ক্লাবের অনিয়ম: বিদ্যুৎ বিল, লিজমানি ও বাণিজ্য মেলার দুর্নীতি নিয়ে বিতর্ক কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ২৪ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক দূর্গাপুরে ১৬৪০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষে অনিশ্চিয়তা শিশু সন্তানের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

গর্ভবতী নারীরা যেভাবে নামাজ পড়বেন

মায়ের পায়ের নিচে দেওয়া হয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। একজন নারী গর্ভধারণের মাধ্যমে মা হন। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের যে কষ্ট ও বিপন্ন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় তার পুরস্কার স্বরূপ প্রদান করা হয়েছে মাতৃত্বের এ মর্যাদা। গর্ভে সন্তান আসা নারীর জন্য বোঝা নয়, বরং সম্মান ও সৌভাগ্যের। 

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত— তিনি বলেন, নবীজি (সা.)-এর পুত্র ইবরাহিমের দুধমাতা সালামাকে (রা.) নবীজি (সা.) বলেছিলেন, তোমরা নারীরা কি এতে খুশি নও যে, যখন কোনো নারী তার স্বামীর পক্ষ থেকে গর্ভধারিণী হয় আর স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, তখন সে আল্লাহর জন্য সর্বদা রোজা পালনকারী ওসারা রাত নফল ইবাদতকারীর মতো সওয়াব পেতে থাকবে? তার যখন প্রসব ব্যথা শুরু হয় তখন তার জন্য নয়ন জুড়ানো কী কী নেয়ামত লুকিয়ে রাখা হয়, তা আসমান-জমিনের কোনো অধিবাসীই জানে না। সে যখন সন্তান প্রসব করে তখন তার দুধের প্রতিটি ফোঁটার বিনিময়ে একটি করে নেকি দেওয়া হয়। এ সন্তান যদি কোনো রাতে তাকে জাগিয়ে রাখে (কান্নাকাটি করে মাকে বিরক্ত করে ঘুমুতে না দেয়) তা হলে সে আল্লাহর জন্য নিখুঁত সত্তরটি গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবে।’ (তাবরানি, হাদিস : ৬৯০৮; মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ৪/৩০৫)

তাই গর্ভবতী নারীদের নামাজের বিষয়ে আলেমরা বলেন,

গর্ভাবস্থায় নারীরা অসুস্থ ব্যক্তির মতো নামাজ আদায় করবে। অর্থাৎ শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী একাধিক বিকল্পের কোনো একটি গ্রহণ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো, যদি না পারো তাহলে বসে নামাজ পড়ো, যদি তাও না পারো তাহলে ইশারা করে নামাজ আদায় করো। (বুখারি, হাদিস : ১০৫০)।

যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে অক্ষম, সে বসে বসে রুকু-সিজদা আদায় করে নামাজ পড়বে। যে ব্যক্তি বসে রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদায় সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ শুদ্ধ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৬)

গর্ভবতী অবস্থায় সিজদা দিতে কষ্ট হলে সম্ভব হলে হাত জমিনে রেখে তার ওপর সিজদা করবে। অন্যথায় হাত সামনে রেখে যতটুতু ঝুঁকতে পারে ততটুকু ঝুঁকে ইশারায় সিজদা করবে। ইশারায় সিজদার সময় সামনে কোনো টেবিল, বালিশ বা অন্য কিছু রেখে তাতে সিজদা করবে না।

হাদিস শরিফে এসেছে, জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একজন রোগী দেখতে গেলেন।

তিনি তাকে একটি বালিশের ওপর সিজদা করতে দেখলেন। তিনি তা (বালিশ) নিয়ে সরিয়ে রাখেন। অতঃপর লোকটি একটি কাঠের টুকরা নিল তার ওপর সিজদার জন্য। রাসুল (সা.) তা নিয়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তুমি সক্ষম হলে জমিনের ওপর সিজদা করবে অন্যথায় ইশারা করবে। আর তোমার সিজদা রুকু থেকে বেশি ঝুঁকে আদায় করবে। (সুনানে বাইহাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৪৮৪)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঞ্চল্যকর জালিয়াতি: ‘নামের কারণে’ ১৪ বছর চাকরি করছেন ফেল করা ব্যক্তি

গর্ভবতী নারীরা যেভাবে নামাজ পড়বেন

আপডেট সময় ১২:৫৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

মায়ের পায়ের নিচে দেওয়া হয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। একজন নারী গর্ভধারণের মাধ্যমে মা হন। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের যে কষ্ট ও বিপন্ন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় তার পুরস্কার স্বরূপ প্রদান করা হয়েছে মাতৃত্বের এ মর্যাদা। গর্ভে সন্তান আসা নারীর জন্য বোঝা নয়, বরং সম্মান ও সৌভাগ্যের। 

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত— তিনি বলেন, নবীজি (সা.)-এর পুত্র ইবরাহিমের দুধমাতা সালামাকে (রা.) নবীজি (সা.) বলেছিলেন, তোমরা নারীরা কি এতে খুশি নও যে, যখন কোনো নারী তার স্বামীর পক্ষ থেকে গর্ভধারিণী হয় আর স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, তখন সে আল্লাহর জন্য সর্বদা রোজা পালনকারী ওসারা রাত নফল ইবাদতকারীর মতো সওয়াব পেতে থাকবে? তার যখন প্রসব ব্যথা শুরু হয় তখন তার জন্য নয়ন জুড়ানো কী কী নেয়ামত লুকিয়ে রাখা হয়, তা আসমান-জমিনের কোনো অধিবাসীই জানে না। সে যখন সন্তান প্রসব করে তখন তার দুধের প্রতিটি ফোঁটার বিনিময়ে একটি করে নেকি দেওয়া হয়। এ সন্তান যদি কোনো রাতে তাকে জাগিয়ে রাখে (কান্নাকাটি করে মাকে বিরক্ত করে ঘুমুতে না দেয়) তা হলে সে আল্লাহর জন্য নিখুঁত সত্তরটি গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবে।’ (তাবরানি, হাদিস : ৬৯০৮; মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ৪/৩০৫)

তাই গর্ভবতী নারীদের নামাজের বিষয়ে আলেমরা বলেন,

গর্ভাবস্থায় নারীরা অসুস্থ ব্যক্তির মতো নামাজ আদায় করবে। অর্থাৎ শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী একাধিক বিকল্পের কোনো একটি গ্রহণ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো, যদি না পারো তাহলে বসে নামাজ পড়ো, যদি তাও না পারো তাহলে ইশারা করে নামাজ আদায় করো। (বুখারি, হাদিস : ১০৫০)।

যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে অক্ষম, সে বসে বসে রুকু-সিজদা আদায় করে নামাজ পড়বে। যে ব্যক্তি বসে রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদায় সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ শুদ্ধ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৬)

গর্ভবতী অবস্থায় সিজদা দিতে কষ্ট হলে সম্ভব হলে হাত জমিনে রেখে তার ওপর সিজদা করবে। অন্যথায় হাত সামনে রেখে যতটুতু ঝুঁকতে পারে ততটুকু ঝুঁকে ইশারায় সিজদা করবে। ইশারায় সিজদার সময় সামনে কোনো টেবিল, বালিশ বা অন্য কিছু রেখে তাতে সিজদা করবে না।

হাদিস শরিফে এসেছে, জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একজন রোগী দেখতে গেলেন।

তিনি তাকে একটি বালিশের ওপর সিজদা করতে দেখলেন। তিনি তা (বালিশ) নিয়ে সরিয়ে রাখেন। অতঃপর লোকটি একটি কাঠের টুকরা নিল তার ওপর সিজদার জন্য। রাসুল (সা.) তা নিয়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তুমি সক্ষম হলে জমিনের ওপর সিজদা করবে অন্যথায় ইশারা করবে। আর তোমার সিজদা রুকু থেকে বেশি ঝুঁকে আদায় করবে। (সুনানে বাইহাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৪৮৪)