কাতার বিশ্বকাপে ইরানের সমর্থনে মাঠ ভরাচ্ছেন সমর্থকরা। ইরান গোল করলে তারা গলা ফাটাচ্ছেন। কিন্তু তারা আদৌ ইরানের সমর্থক নন। গ্যালারি ভর্তি করতে নাকি ২০ হাজার টিকিট কিনে নিয়েছে ইরান সরকার। এই টিকিটগুলো দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের নাগরিকদের। বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানিরাই রুজবে চেশমি-মেহেদি তারেমিদের জন্য গলা ফাটাচ্ছেন কাতারের গ্যালারিতে। এমনই দাবি জানাচ্ছেন ভারতে খেলে যাওয়া সাবেক ইরানি ফুটবলার মাহমুদ খাবাজি।
বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজে প্যারিসে অবস্থান করছেন তিনি। সেখান থেকেই ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনকে বলছেন, ‘এই ফুটবলাররা মোটেও আমাদের দেশের মুখ নয়। এই দলটাকে আমরা কেউই সমর্থন করি না। এরা প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির কাছে মাথা নত করেছে। ফুটবলাররা দেশের মানুষের পাশে নেই। এরা কেউ তারকা ফুটবলারও নয়। আমাদের দেশে ঘাফুরি, আলি দায়ির মতো তারকা ফুটবলার ছিল। ঘাফুরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলি দায়ি গৃহবন্দি।’
ইরানের জাতীয় দল নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন খাবাজি। তার মতোই দেশের পরিস্থিতির ছবি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের কাছে তুলে ধরেছিলেন ঢাকা আবাহনীতে খেলা ইরানের ফুটবলার মিলাদ সোলেইমানি। তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপে জাতীয় সংগীত না গেয়ে নাটক করেছে ফুটবলাররা।’
এদিকে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে ইরানের সামনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। খেলার মাঠে ইরান ও আমেরিকার জয়-পরাজয়ের উপরে নির্ভর করছে বিশ্বকাপের পরবর্তী রাউন্ডে যাবে কোন দল। যে হারবে সেই দলের বিদায় হয়ে যাবে টুর্নামেন্ট থেকে। এর মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ঠান্ডা লড়াই। মার্কিন ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা বিকৃতির অভিযোগ এনেছে ইরান। ফিফার কাছে নালিশ জানিয়েছে দেশটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশ ম্যাচ সাসপেনশন চাইছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম পেজে ইরানের পতাকা থেকে ‘আল্লাহ’ শব্দটি বাদ দিয়ে ছবি পোস্ট করা হয়েছে। আর তারই প্রতিবাদ জানিয়েছে তেহরান। ফিফার কাছে মেল পাঠানো হয়েছে ইরানের তরফে। এদিকে মার্কিন ফুটবল ফেডারেশনের দাবি, পতাকা থেকে সাময়িক সময়ের জন্য ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতীক সরিয়ে দিয়ে তারা মাহসা আমিনির মৃত্যু এবং মৌলিক অধিকারের জন্য সংগ্রামরত ইরানি নারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।