প্রথমার্ধে উরুগুয়ের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টাটা ভালোভাবেই করেছে পর্তুগাল। কিন্তু একের পর এক আক্রমণেও মিলছিল না সফলতা। শেষমেষ ডেডলক ভাঙল ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলে। এরপর অতিরিক্ত সময়ে স্পটকিক থেকে ব্রুনোর আরেক গোল। মোটকথা গোলখরার ম্যাচে একাই পর্তুগালকে জিতিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফরোয়ার্ড।
সোমবার রাতে বিশ্বকাপের এইচ গ্রুপের ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের মুখোমুখি হয়েছে উরুগুয়ে। লুসাইল স্টেডিয়ামের ম্যাচে কারবাহাল-কাভানিদের ২-০ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নক আউট পর্বে উঠে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। ম্যাচে পর্তুগালের দুটো গোলই এসেছে ব্রুনোর পা থেকে।
হাইভোল্টেজ ম্যাচে গোল করাটা অবশ্য মোটেও সহজ কাজ ছিল না। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের প্রথমার্ধে রোনালদোদের দাপট চললেও গোল আসেনি একটিও। দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ হারাচ্ছিল দলটি। কিন্তু কোচ ফার্নান্দো সান্তোসকে হতাশ করেননি ব্রুনো।
৫৪ তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজের দারুণ এক ক্রসে বল কিছুটা বাঁক খেয়ে সরাসরি জালে জড়ায়। বল হাওয়ায় থাকা অবস্থায় হেড করতে লাফিয়ে উঠেছিলেন রোনালদো। ফিফা প্রথমে গোলদাতা হিসেবে পর্তুগাল অধিনায়কের নাম জানালেও পরে সিদ্ধান্ত পাল্টায়, গোলদাতা ফার্নান্দেজ।
পিছিয়ে পড়ার পর গোল পরিশোধের জন্য যখন মরিয়া উরুগুয়ে, তখনই আরেক গোল করে বসেন ব্রুনো। যোগ করা সময়ের তৃতীয় ডি-বক্সে ডিফেন্ডার হোসে হিমেনেসের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পটকিক থেকে স্কোরশিটে নাম লেখাতে ভুল করেননি ব্রুনো। বাকিটা সময় কোনো গোল না হলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল। আর জোড়া গোল করে ম্যাচসেরার পুরষ্কারটা জিতে নিয়েছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।