ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা।

মুরাদনগরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধার বিরুদ্ধে মামলা ধর্ষককে সহায়তা করার অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার-২ 

মুরাদনগরে ৬ বছরের এক শিশুকে মুখে চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহিম (৬০) ওরফে বন্দা মিয়ার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার ভোর ৭ টায় উপজেলার পৈয়াপাথর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আব্দুর রহিম গুঞ্জর গ্রামের মৃত আনছর আলী বেপারীর ছেলে। উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তকে সহযোগীতা করার অপরাধে তাঁর ছেলে আল আমিন (৩৭) ও স্হানীয় সেলিম মেম্বার (৪০)কে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করেন মুরাদনগর থানা পুলিশ।

জানা যায়, বৃহষ্পতিবার ভোর ৭ টায় গুঞ্জর দক্ষিনপাড়া নীজ বাড়ির ভাড়াটিয়া শিশুর সাথে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি পৈয়াপাথর বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলো। তাকে ইশারা কাছে নেয় অভিযুক্ত আব্দুর রহিম। এসময় শিশুটির মুখ চেপে ধরে কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন । শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ৫ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিয়ে মুখ চেপে রাখেন। বিষয়টি পাশের ঘরের এক মহিলা টের পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বৃদ্ধকে আটক করেন। পরে ওয়ার্ড মেম্বার ও কিছু সালিশি লোক বিচার করার কথা বলে ধর্ষক বৃদ্ধ রহিমকে ছেড়ে দেন।
বৃহষ্পতিবার রাত ১০ টায় সালিশী বৈঠকে বসার কথা ছিলো। তখন মেয়ের বাবা এ বিচার মানেনা মর্মে পুলিশ কল করেন। পুলিশ সালিশি সেলিম মেম্বার ও বৃদ্ধার ছেলে আল আমিন (৩৭) কে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
শুক্রবার শুিশুটির পিতা রিপন মিয়া বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার সকালে আটকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটির বাবা সুইপারের কাজ করেন। সে এখানে আব্দুর রহিম (বন্দা) র ঘরে ভাড়া থাকেন। বৃহষ্পতিবার সকালে বন্দা মিয়া শিশুটিকে রুমের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে শিশুটির চিৎকারে পাশের ঘরের মহিলা এসে তাকে স্হানীয়দের সহযোগিতায় আটক করেন।

তাঁরা আরো জানান ,আব্দুর রহিম ওরফে বন্দা মিয়া ১৫ দিন আগে ওমরাহ হজ্জ করে আসছেন। এই ধষর্ণের ঘটনাটি সামাজিকভাবে শেষ করতে চেয়েছিল তাঁর ছেলে ও দুই মেম্বার। কিন্তু মেয়ের বাবার কারণে শেষ হয়নি। সে পুলিশকে জানিয়ে অভিযোগ করেন। আমরাও চাই ঘটনার উপযুক্ত বিচার হউক। ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।

শিশুটির পিতা রিপন মিয়া বলেন, আমার বাসার মালিক আব্দুর রহিম বৃহষ্পতিবার সকালে মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ধর্ষকের সবোর্চ্চ বিচার চাই।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুল হক বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষককে সহযোগীতা অভিযোগে সেলিম মেম্বার ও অভিযুক্ত ব্যাক্তির ছেলেকে গ্রেফতারপূর্বক আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক আব্দুর রহিম বন্দাকে আটক চেষ্টা অব্যাহত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী

মুরাদনগরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধার বিরুদ্ধে মামলা ধর্ষককে সহায়তা করার অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার-২ 

আপডেট সময় ০২:৪৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

মুরাদনগরে ৬ বছরের এক শিশুকে মুখে চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহিম (৬০) ওরফে বন্দা মিয়ার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার ভোর ৭ টায় উপজেলার পৈয়াপাথর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আব্দুর রহিম গুঞ্জর গ্রামের মৃত আনছর আলী বেপারীর ছেলে। উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তকে সহযোগীতা করার অপরাধে তাঁর ছেলে আল আমিন (৩৭) ও স্হানীয় সেলিম মেম্বার (৪০)কে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করেন মুরাদনগর থানা পুলিশ।

জানা যায়, বৃহষ্পতিবার ভোর ৭ টায় গুঞ্জর দক্ষিনপাড়া নীজ বাড়ির ভাড়াটিয়া শিশুর সাথে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি পৈয়াপাথর বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলো। তাকে ইশারা কাছে নেয় অভিযুক্ত আব্দুর রহিম। এসময় শিশুটির মুখ চেপে ধরে কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন । শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ৫ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিয়ে মুখ চেপে রাখেন। বিষয়টি পাশের ঘরের এক মহিলা টের পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বৃদ্ধকে আটক করেন। পরে ওয়ার্ড মেম্বার ও কিছু সালিশি লোক বিচার করার কথা বলে ধর্ষক বৃদ্ধ রহিমকে ছেড়ে দেন।
বৃহষ্পতিবার রাত ১০ টায় সালিশী বৈঠকে বসার কথা ছিলো। তখন মেয়ের বাবা এ বিচার মানেনা মর্মে পুলিশ কল করেন। পুলিশ সালিশি সেলিম মেম্বার ও বৃদ্ধার ছেলে আল আমিন (৩৭) কে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
শুক্রবার শুিশুটির পিতা রিপন মিয়া বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার সকালে আটকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটির বাবা সুইপারের কাজ করেন। সে এখানে আব্দুর রহিম (বন্দা) র ঘরে ভাড়া থাকেন। বৃহষ্পতিবার সকালে বন্দা মিয়া শিশুটিকে রুমের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে শিশুটির চিৎকারে পাশের ঘরের মহিলা এসে তাকে স্হানীয়দের সহযোগিতায় আটক করেন।

তাঁরা আরো জানান ,আব্দুর রহিম ওরফে বন্দা মিয়া ১৫ দিন আগে ওমরাহ হজ্জ করে আসছেন। এই ধষর্ণের ঘটনাটি সামাজিকভাবে শেষ করতে চেয়েছিল তাঁর ছেলে ও দুই মেম্বার। কিন্তু মেয়ের বাবার কারণে শেষ হয়নি। সে পুলিশকে জানিয়ে অভিযোগ করেন। আমরাও চাই ঘটনার উপযুক্ত বিচার হউক। ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।

শিশুটির পিতা রিপন মিয়া বলেন, আমার বাসার মালিক আব্দুর রহিম বৃহষ্পতিবার সকালে মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ধর্ষকের সবোর্চ্চ বিচার চাই।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুল হক বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষককে সহযোগীতা অভিযোগে সেলিম মেম্বার ও অভিযুক্ত ব্যাক্তির ছেলেকে গ্রেফতারপূর্বক আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক আব্দুর রহিম বন্দাকে আটক চেষ্টা অব্যাহত।