সিলেটের গোয়াইনঘাটে হেমন্তের মাঠে সোনালী ধানের হাসিতে কৃষক কৃষানীর হৃদয়ে আনন্দের ঢেউ লেগেছে। ফসল ভালো হওয়ায় সোনার ফসল ঘর তুলতে ব্যস্হ সময় কাটছে কৃষক কৃষাণীরা ।শুরু হয়েছে ধান কাটা।
প্রায় ৫শত বঃকুঃমিঃ আয়তনের সাড়ে ৩লক্ষাধীক জনঅধ্যুষিত সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় খরিপ-২ মওসুমে আমন ফসল চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৬৩ হেক্টর জমিতে।প্রায় ৩ শত কোটি টাকার চাল শুধু এই মওসুমে উৎপাদিত হবে এমন আশা কৃষকদের। সরকারের বিভিন্ন প্রনোদনা,কৃষি যান্ত্রিকিকরন,কৃষক প্রশিক্ষন,প্রদর্শনী প্রদান এবং উপজেলা প্রশাসন,পরিষদ ও কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় কৃষিতে অভূতপূর্ব সাড়া জেগেছে গেয়াইনঘাটে।যার ফলে কমেছে খাদ্যাভাব।আর কৃষকরা আধুনিক চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ায় কমেছে পতিত জমির পরিমান।
সোনার অগ্রহায়নের ফসল কাটা শুরু হয়েছে। ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৪শত ৪৬ হেক্টর জমির ধান কাঠা হয়েছে বলে জানান কৃষিবিদ রায়হান পারভেজ।এ মওসুমে( খরিপ -২) উপসী ১৫ হাজার ৩ শত ৭০ হেক্টর, স্হানীয় জাতের ২ হাজার ৬শত ৯৩ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। ফসল ঘরে উঠলে ৪৭ হাজার ৭শত ৮৭ মেঃ টন চাল উৎপাদিত হবে, যার মূল্য পায় ৩ শতকোটি টাকা।।এ চাড়া শীত মওসুমে শাকসব্জি চাষে লক্ষমাত্রা ৪ হাজার ১০ হেক্টর বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন এলাকা সব্জিচাষে ভাদ্রমাস থেকেই কৃষকরা কমর বেধে মাঠে রয়েছেন। এই লক্ষমাত্রা অনেক বেশী হবে বলে কৃষকরা জানান।
গোয়াইনঘাটের কৃষকরা ফসল উৎপাদনে সাড়া দিলেও এখনের চাষাবাদ এখনো প্রকৃতি নির্ভর। বন্যা,অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি খরা কৃষকের স্বপ্ন কেড়ে নেয়।আবার উৎপাদিত পণ্যের(সব্জীর) সংরক্ষণের ব্যবস্হা না থাকায় সঠিক মূল্য পায় না কৃষক।বোরো মওসুমে পানির অভাবে অন্তহীন দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় কৃষকদের।আর একবার ফসলহানী ঘঠলে ভেঙ্গে যায় কৃষকের মেরুদন্ড।
এবারের অগ্রহায়নের ফসল কৃষকদের মনে যেন নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।পরিবার পরিজনের বছরের খরচ মেটাতে সেনালীধান ঘরেতুলতে ব্যস্হ রয়েছেন আশাবাদী কৃষকরা।