ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধরা পড়লো পটুয়াখালীর এসএস ফিলিংস স্টেশনের তেল চুরি।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার শিয়ালি স্থানে এস এস ফিল্ম স্টেশনে দীর্ঘদিন যাবত তেল চুরি করে আসছিল পেট্রোল পাম্পের কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল আনুমানিক ৪ টার দিকে সাধারণ জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে। পটুয়াখালী জেলার একজন ম্যাজিস্ট্রেট সরজমিনে এসে পেট্রোল পাম্পটিতে মোবাইল কোট পরিচালনা করেন।

সেখানে দেখা যায় পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল, সহ প্রতিটা মেশিনে ১০ লিটার তেলে ৮০০ গ্রাম ও ৬০০ গ্রাম করে তেল কম দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ম্যাজিস্ট্রেট এস এস ফিলিং স্টেশন, পেট্রোল পাম্পটিতে নগত ২০ হাজার টাকা জরিপানা করেন ও যতদিনে তেলের মাপ ঠিক না করবে ততদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে এই ফিলিং স্টেশনটি চালু হয়, তারপর থেকে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন সময়ে এই ফিলিং স্টেশনটিতে তেল চুরির দায়ে ম্যাজিস্ট্রেট এসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করেন, ও পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ করতে নিষেধ করেন।

কিন্তু কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে, এভাবেই তেল চুরির কারবার চালিয়ে আসছিল এস এস ফিলিং স্টেশনের কর্তৃপক্ষের লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়, গাড়িচালকরা কেউ কোন প্রতিবাদ করতে গেলে, তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে, তেল চুরির বিষয়টি প্রকাশ করতে দেয় না।

এ বিষয়ে, এস এস ফিলিং স্টেশন এর মালিক সেলিম খন্দকারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন।
আমাদের মেশিনের সমস্যা হয়েছে, তাই তেল কম যেত। কিন্তু তাকে একসাথে তিনটি মেশিনে সমস্যা হয়েছে বলে প্রশ্ন করলে, তিনি সরি বলে ফোন কেটে দেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ধরা পড়লো পটুয়াখালীর এসএস ফিলিংস স্টেশনের তেল চুরি।

আপডেট সময় ১১:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

পটুয়াখালী সদর উপজেলার শিয়ালি স্থানে এস এস ফিল্ম স্টেশনে দীর্ঘদিন যাবত তেল চুরি করে আসছিল পেট্রোল পাম্পের কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল আনুমানিক ৪ টার দিকে সাধারণ জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে। পটুয়াখালী জেলার একজন ম্যাজিস্ট্রেট সরজমিনে এসে পেট্রোল পাম্পটিতে মোবাইল কোট পরিচালনা করেন।

সেখানে দেখা যায় পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল, সহ প্রতিটা মেশিনে ১০ লিটার তেলে ৮০০ গ্রাম ও ৬০০ গ্রাম করে তেল কম দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ম্যাজিস্ট্রেট এস এস ফিলিং স্টেশন, পেট্রোল পাম্পটিতে নগত ২০ হাজার টাকা জরিপানা করেন ও যতদিনে তেলের মাপ ঠিক না করবে ততদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে এই ফিলিং স্টেশনটি চালু হয়, তারপর থেকে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন সময়ে এই ফিলিং স্টেশনটিতে তেল চুরির দায়ে ম্যাজিস্ট্রেট এসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করেন, ও পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ করতে নিষেধ করেন।

কিন্তু কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে, এভাবেই তেল চুরির কারবার চালিয়ে আসছিল এস এস ফিলিং স্টেশনের কর্তৃপক্ষের লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়, গাড়িচালকরা কেউ কোন প্রতিবাদ করতে গেলে, তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে, তেল চুরির বিষয়টি প্রকাশ করতে দেয় না।

এ বিষয়ে, এস এস ফিলিং স্টেশন এর মালিক সেলিম খন্দকারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন।
আমাদের মেশিনের সমস্যা হয়েছে, তাই তেল কম যেত। কিন্তু তাকে একসাথে তিনটি মেশিনে সমস্যা হয়েছে বলে প্রশ্ন করলে, তিনি সরি বলে ফোন কেটে দেন।