নীলফামারীতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাহিরে পাঠানো ও স্বাক্ষর মিল না হওয়ার অপরাধে পাঁচজন পরীক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নীলফামারী সরকারি কলেজ কেন্দ্রের তিনজন এবং রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রের দুইজনকে এ সাজা দেন দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী এলাকার রবিন মোস্তাফিজের মেয়ে আফিফা আফরোজ, একই ইউনিয়নের ওসমান গনির মেয়ে রনজিনা আকতার ও উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের আজিজুল খানের মেয়ে আদুরী খানম। এছাড়াও নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের যাদুরহাট এলাকার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রাশেদা বেগম ও তার মেয়ে সিমলা আক্তারকে সাজা দেওয়া হয়েছে। রাশেদা ও সিমলা সম্পর্কে মা-মেয়ে বলে জানা গেছে।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী সরকারি কলেজ কেন্দ্রে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার ও রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রে নীলফামারী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনুল আবেদীন দায়িত্ব পালন করেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার বলেন, সরকারি কলেজ কেন্দ্রে জলঢাকার তিন পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাহিরে পাঠানোর অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আফিফা আফরোজের দুই দিন এবং বাকি দুইজনের তিন দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের দুপুরে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনুল আবেদীন বলেন, রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতনে মা রাশেদা বেগমের পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন মেয়ে সিমলা আক্তার। পরীক্ষার্থী রাশেদার স্বাক্ষর মিল না হওয়ায় মেয়ে সিমলা ও মা রাশেদার তিন দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, নীলফামারীতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৭৬টি পদের বিপরীতে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। ৫৩৮১ জন আবেদন করলেও আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় ২১০১ অংশগ্রহণ করেন।