ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিঠাপুকুরে বিদ্যালয়ে না এসেই বেতন নিচ্ছেন আব্দুল কাইয়ুম

সাড়ে ৩ বছর ধরে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম অনুপস্থিত থেকেও অবৈধ ভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। তার বাড়ী রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলায়।

এলাকার সচেতন মহল ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ জানান, ওই শিক্ষক ২০১৯ সাল থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক অলী আহমেদ আলমের ভাগ্নের চাকুরীর ব্যাপারে ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৫ শ টাকা ও হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারের কাছ থেকে তার স্ত্রীর চাকুরীর জন্য ১২ লক্ষ টাকা গ্রহন করে উধাও হন এই শিক্ষক আবদুল কাইয়ুম। তারা আরো জানান, প্রধান শিক্ষক মাহেদুল আলম হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে উপস্থিত দেখিয়েছেন শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুমকে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক মাহেদুল আলমের যোগসাজশে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগী করে নিয়েছেন বলে জানান।

এ সংক্রান্ত সংবাদ গোপনে মিঠাপুকুর ইউএনও এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানতে পারলে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কে দিয়ে তদন্ত করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। প্রধান শিক্ষক মাহেদুল বলেন,পলাতক শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম বিদ্যালয়ের ২ জন সহকারী শিক্ষকের টাকা আর্থসাৎ করায় এবং দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় গত ২০ জুলাই ২০২২ তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি রেজুলেশন মোতাবেক ওই শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্ত ও বেতন ভাতা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিঠাপুকুরে বিদ্যালয়ে না এসেই বেতন নিচ্ছেন আব্দুল কাইয়ুম

আপডেট সময় ০২:২১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাড়ে ৩ বছর ধরে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম অনুপস্থিত থেকেও অবৈধ ভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। তার বাড়ী রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলায়।

এলাকার সচেতন মহল ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ জানান, ওই শিক্ষক ২০১৯ সাল থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক অলী আহমেদ আলমের ভাগ্নের চাকুরীর ব্যাপারে ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৫ শ টাকা ও হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারের কাছ থেকে তার স্ত্রীর চাকুরীর জন্য ১২ লক্ষ টাকা গ্রহন করে উধাও হন এই শিক্ষক আবদুল কাইয়ুম। তারা আরো জানান, প্রধান শিক্ষক মাহেদুল আলম হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে উপস্থিত দেখিয়েছেন শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুমকে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক মাহেদুল আলমের যোগসাজশে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগী করে নিয়েছেন বলে জানান।

এ সংক্রান্ত সংবাদ গোপনে মিঠাপুকুর ইউএনও এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানতে পারলে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কে দিয়ে তদন্ত করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। প্রধান শিক্ষক মাহেদুল বলেন,পলাতক শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম বিদ্যালয়ের ২ জন সহকারী শিক্ষকের টাকা আর্থসাৎ করায় এবং দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় গত ২০ জুলাই ২০২২ তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি রেজুলেশন মোতাবেক ওই শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্ত ও বেতন ভাতা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।