ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র বরখাস্ত

সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ ও পৌর তহবিলের অর্থ তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১২ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আদেশ জারির দিন থেকেই পৌর মেয়র মালেক সাময়িক বরখাস্ত বলে বিবেচিত হবেন।

জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া মেয়র আব্দুল মালেক ভবানীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের ফুফাতো ভাই। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ হাচেন আলীকে পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মালেকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নানাবিধ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে পৌর কাউন্সিলররা স্থানীয় সরকার সচিব বরাবর আবেদন করেছিলেন। মন্ত্রণালয় থেকে তা তদন্ত করা হয় এবং তদন্তে অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ মেলে।

মন্ত্রণালয়ের আদেশপত্রে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে পৌরসভার চারটি প্যাকেজ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে তিনটি প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন না করেই বরাদ্দ করা অর্থের পুরোটাই তুলে আত্মসাৎ করেন মেয়র আব্দুল মালেক। ২০২২ সালে কাজ না করেই কোটেশনের মাধ্যমে আরেকটি বরাদ্দের ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪০ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। পৌর ভবনের নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না করে নিজেই মিস্ত্রি লাগিয়ে কাজ করেন। ঠিকাদার হিসেবে নিজেই এই কাজের বরাদ্দ করা টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন।

এছাড়া আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে আদায় করা পৌরকর আত্মসাৎ, ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ায় অনিয়ম, পৌরসভার ট্রাক, রোলার ও অন্যান্য বাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে গাফিলতি এবং পৌর এলাকার সড়কে যানবাহন থেকে টোকেনের মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা তোলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র বরখাস্ত

আপডেট সময় ১২:১৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ ও পৌর তহবিলের অর্থ তছরুপের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১২ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আদেশ জারির দিন থেকেই পৌর মেয়র মালেক সাময়িক বরখাস্ত বলে বিবেচিত হবেন।

জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া মেয়র আব্দুল মালেক ভবানীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের ফুফাতো ভাই। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ হাচেন আলীকে পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মালেকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নানাবিধ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে পৌর কাউন্সিলররা স্থানীয় সরকার সচিব বরাবর আবেদন করেছিলেন। মন্ত্রণালয় থেকে তা তদন্ত করা হয় এবং তদন্তে অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ মেলে।

মন্ত্রণালয়ের আদেশপত্রে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে পৌরসভার চারটি প্যাকেজ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে তিনটি প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন না করেই বরাদ্দ করা অর্থের পুরোটাই তুলে আত্মসাৎ করেন মেয়র আব্দুল মালেক। ২০২২ সালে কাজ না করেই কোটেশনের মাধ্যমে আরেকটি বরাদ্দের ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪০ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। পৌর ভবনের নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না করে নিজেই মিস্ত্রি লাগিয়ে কাজ করেন। ঠিকাদার হিসেবে নিজেই এই কাজের বরাদ্দ করা টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন।

এছাড়া আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে আদায় করা পৌরকর আত্মসাৎ, ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ায় অনিয়ম, পৌরসভার ট্রাক, রোলার ও অন্যান্য বাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে গাফিলতি এবং পৌর এলাকার সড়কে যানবাহন থেকে টোকেনের মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা তোলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।