ঢাকা ০৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা। ইলিয়াস কাঞ্চন এবং যুব ও ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এর মত বিনিময় অনুষ্ঠিত সার্ক ‘আইকন অব সার্জারি’ সম্মাননা পেলেন অধ্যাপক ডা. মওদুদ

সামনে ঈদ, ডিম আলু পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার নাভিশ্বাস

কুরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মসলা পণ্যের বাজারে তত অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে একটি ডিমের দাম ১৪ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এক কেজি আলু কিনতে ক্রেতাকে ব্যয় করতে হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ৫০ টাকা ছিল। এছাড়া ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা বেড়ে ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি সব ধরনের সবজির দামও।

ফলে এমন পিরিস্থিতিতে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার নাভিশ্বাস বাড়ছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজারসহ একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে নিত্যপণ্যের মধ্যে ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, ডাল, ভুট্টা, আটা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি কেনার জন্য স্থানীয় ঋণপত্রের উৎসে কর ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও এ সবের দাম কমবে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজেটে এসব পণ্যের উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখনও বাজেট পাশ হয়নি। যে কারণে বাজারে বাজেটের কোনো ইতিবাচক প্রভাব এখন দেখা যাবে না। এর জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হবে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়। যেমন সিগারেটসহ অনেক পণ্যই সঙ্গে সঙ্গে বিক্রেতারা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। কিন্তু কমানোর প্রস্তাব করা হলে বাজেট পাশের অজুহাত দেখায়।

শুক্রবার খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি ডজন (১২ পিস) ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকা। এক হালি (৪ পিস) বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। আর প্রতি পিস কিনতে ক্রেতার ১৪ টাকা গুনতে হচ্ছে। যা গত বছর একই সময়ে ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

নয়াবাজারে ডিম কিনতে আসা মো. মুনতাসির বলেন, ডিম নিয়ে বিক্রেতাদের কারসাজির কোনো শেষ নেই। এক পিস ডিম কিনতে ১৪ টাকা গুনতে হচ্ছে। কিন্তু বাজারে ডিমের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। বিক্রেতা তাদের ইচ্ছামতো ডিমের দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করছেন। আর এসব দেখার জন্য সরকারের যেসব সংস্থা রয়েছে, তারাও কিছু করছে না। একই বাজারের ডিম বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে ডিমের দাম বাড়তি। তারা বিভিন্ন জায়গায় ডিম মজুত করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা হাতেনাতে ধরেছে। তারপরও কিছুই করতে পারছে না। সেই চক্রের সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনা গেলে ডিমের দাম কমে যাবে।

এদিকে ভারত রপ্তানি শুরু করলেও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৭০-৭৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু কিনতে ক্রেতার ৬০-৬৫ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। যা কিছুদিন আগেও ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০০-৪০০০ টাকায়। যা গত বছর একই সময়ে ১৬০০-২৮০০ টাকা ছিল। বাজারে দেশি রসুনের কেজি ২০০-২২০ টাকা। যা আগে ১৩০-১৫০ টাকা ছিল। বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। যা গত বছর একই সময় ৩৮০-৪০০ টাকা ছিল। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৪০০ টাকা, যা ছিল ২৩০-২৮০ টাকা। প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। যা গত বছর কুরবানির ঈদের আগে ছিল ৪৫০-৫২০ টাকা। লবঙ্গ ১৬৫০ থেকে ১৮০০ টাকা, যা গত বছর একই সময় ছিল ১৫০০-১৬০০ টাকা।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, যা এক দিন আগেও ৪০ টাকা ছিল। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা ৭ দিন আগে ছিল ৫০ টাকা। এছাড়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না

সামনে ঈদ, ডিম আলু পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার নাভিশ্বাস

আপডেট সময় ১২:৫০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

কুরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মসলা পণ্যের বাজারে তত অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে একটি ডিমের দাম ১৪ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এক কেজি আলু কিনতে ক্রেতাকে ব্যয় করতে হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ৫০ টাকা ছিল। এছাড়া ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা বেড়ে ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি সব ধরনের সবজির দামও।

ফলে এমন পিরিস্থিতিতে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার নাভিশ্বাস বাড়ছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজারসহ একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে নিত্যপণ্যের মধ্যে ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, ডাল, ভুট্টা, আটা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি কেনার জন্য স্থানীয় ঋণপত্রের উৎসে কর ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও এ সবের দাম কমবে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজেটে এসব পণ্যের উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখনও বাজেট পাশ হয়নি। যে কারণে বাজারে বাজেটের কোনো ইতিবাচক প্রভাব এখন দেখা যাবে না। এর জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হবে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়। যেমন সিগারেটসহ অনেক পণ্যই সঙ্গে সঙ্গে বিক্রেতারা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। কিন্তু কমানোর প্রস্তাব করা হলে বাজেট পাশের অজুহাত দেখায়।

শুক্রবার খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি ডজন (১২ পিস) ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকা। এক হালি (৪ পিস) বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। আর প্রতি পিস কিনতে ক্রেতার ১৪ টাকা গুনতে হচ্ছে। যা গত বছর একই সময়ে ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

নয়াবাজারে ডিম কিনতে আসা মো. মুনতাসির বলেন, ডিম নিয়ে বিক্রেতাদের কারসাজির কোনো শেষ নেই। এক পিস ডিম কিনতে ১৪ টাকা গুনতে হচ্ছে। কিন্তু বাজারে ডিমের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। বিক্রেতা তাদের ইচ্ছামতো ডিমের দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করছেন। আর এসব দেখার জন্য সরকারের যেসব সংস্থা রয়েছে, তারাও কিছু করছে না। একই বাজারের ডিম বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে ডিমের দাম বাড়তি। তারা বিভিন্ন জায়গায় ডিম মজুত করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা হাতেনাতে ধরেছে। তারপরও কিছুই করতে পারছে না। সেই চক্রের সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনা গেলে ডিমের দাম কমে যাবে।

এদিকে ভারত রপ্তানি শুরু করলেও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৭০-৭৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু কিনতে ক্রেতার ৬০-৬৫ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। যা কিছুদিন আগেও ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০০-৪০০০ টাকায়। যা গত বছর একই সময়ে ১৬০০-২৮০০ টাকা ছিল। বাজারে দেশি রসুনের কেজি ২০০-২২০ টাকা। যা আগে ১৩০-১৫০ টাকা ছিল। বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। যা গত বছর একই সময় ৩৮০-৪০০ টাকা ছিল। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৪০০ টাকা, যা ছিল ২৩০-২৮০ টাকা। প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। যা গত বছর কুরবানির ঈদের আগে ছিল ৪৫০-৫২০ টাকা। লবঙ্গ ১৬৫০ থেকে ১৮০০ টাকা, যা গত বছর একই সময় ছিল ১৫০০-১৬০০ টাকা।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, যা এক দিন আগেও ৪০ টাকা ছিল। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা ৭ দিন আগে ছিল ৫০ টাকা। এছাড়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।