ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নূরুল কবিরকে বিমানবন্দরে হয়রানি, জামায়াতের উদ্বেগ নয়াদিল্লির প্রেস মিনিস্টার হলেন দুই সাংবাদিক ঐক্যকে রাখতে হবে ইস্পাত কঠিন অটুট: জামায়াত আমির হাসিনার বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কেন বিমান পাঠায়নি ভারত শপথ নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত আবারো চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব

আদালতে হেরে গেলেন ব্যারিস্টার সুমন

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আর এর ফলে আদালতে হেরে গিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

কারণ তিনি ছিলেন ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তির পক্ষে। তার প্রত্যাশা ছিল, রায় শিক্ষার্থীদের ভর্তির পক্ষে আসবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। মাঝে শুধু এক ঘণ্টা বিরতি ছিল। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায় ঘোষণার সময় এজলাস কক্ষেই ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।

রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি মানুষ তো! আমি একা হেরে গেলে যতটা কষ্ট পাই তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট পাই যখন দেখি আমার সঙ্গে থাকা মানুষগুলো হেরে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেব।

মঙ্গলবার রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

তদন্ত কমিটিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধি ও বুয়েটের একজন আইটি এক্সপার্টকে রাখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলই থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথম শ্রেণিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত বলেছেন, ১৬৯ শিশুর ভর্তি নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এক্ষেত্রে অভিভাবকরাও দায় এড়াতে পারেন না।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।

গত ১৯ মে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিশুর ভর্তি কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করা ছিল। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল চেয়ে দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক একটি রিট দায়ের করেন।

তাদের অভিযোগ হলো- নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে স্কুলেটিতে। এরপর ২৩ জানুয়ারি রুল জারিসহ ভর্তি বাতিলের আদেশ দেন আদালত। পরে মাউশির নির্দেশনায় ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নূরুল কবিরকে বিমানবন্দরে হয়রানি, জামায়াতের উদ্বেগ

আদালতে হেরে গেলেন ব্যারিস্টার সুমন

আপডেট সময় ১০:১৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আর এর ফলে আদালতে হেরে গিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

কারণ তিনি ছিলেন ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তির পক্ষে। তার প্রত্যাশা ছিল, রায় শিক্ষার্থীদের ভর্তির পক্ষে আসবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। মাঝে শুধু এক ঘণ্টা বিরতি ছিল। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায় ঘোষণার সময় এজলাস কক্ষেই ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।

রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি মানুষ তো! আমি একা হেরে গেলে যতটা কষ্ট পাই তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট পাই যখন দেখি আমার সঙ্গে থাকা মানুষগুলো হেরে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেব।

মঙ্গলবার রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

তদন্ত কমিটিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধি ও বুয়েটের একজন আইটি এক্সপার্টকে রাখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলই থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথম শ্রেণিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত বলেছেন, ১৬৯ শিশুর ভর্তি নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এক্ষেত্রে অভিভাবকরাও দায় এড়াতে পারেন না।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।

গত ১৯ মে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিশুর ভর্তি কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করা ছিল। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল চেয়ে দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক একটি রিট দায়ের করেন।

তাদের অভিযোগ হলো- নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে স্কুলেটিতে। এরপর ২৩ জানুয়ারি রুল জারিসহ ভর্তি বাতিলের আদেশ দেন আদালত। পরে মাউশির নির্দেশনায় ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়।