ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আশীর্বাদে মিজানের সম্পদের পাহাড় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির উদ্দেগে ২৮ শে ডিসেম্বর মহা সন্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ বেলাবতে তারেক রহমানের ১৭তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা দীর্ঘ সাত বছর পর আজ ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন ডুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরনবী ভুইয়া ক্রেস্ট কেলেঙ্কারির বাবুলের ১ সপ্তাহে তিন পদোন্নতি গোয়াইনঘাটে ৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ: ধরা যায়নি কাউকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব মহাসড়কে ঘুস আদায়, ১১ ট্রাফিক গ্রেফতার

বাংলাদেশের রিজার্ভ আবার ১৮ বিলিয়ন ডলারে নামল

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবার ১৮ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার মার্চ ও এপ্রিল মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বকেয়া দেনা বাবদ ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরই রিজার্ভ আবার কমে গেছে।

তবে আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ যেখানে নামছে, ওই অঙ্কে সহসা ফিরছে না। ফলে গড়ে রিজার্ভের পরিমাণ ক্রমেই নিুম্নখী। তবে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের শুরুতে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। তখন রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।

সূত্র জানায়, আকুর সঙ্গে এর সদস্য নয়টি দেশ দুই মাসের বাকিতে পণ্য আমদানি রপ্তানি করতে পারে। দুই মাস পর পরবর্তী মাসের প্রথম ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেনা পাওনা সমন্বয় করতে হয়। সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, ইরান, মিয়ানমার ও মালদ্বীপ। এর মধ্যে বাংলাদেশ আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে বেশি আমদানি করে, রপ্তানি করে কম। যে কারণে প্রতি কিস্তিতেই বাংলাদেশ মোটা অঙ্কের আমদানির দেনা পরিশোধ করে। একসঙ্গে বড় অঙ্কের দেনা পরিশোধ করা হয় বলে রিজার্ভও কমে যায়।

গত মার্চ ও এপ্রিলের দেনা বাবদ গত বৃহস্পতিবার ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ওই অর্থ পরিশোধের পর নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৮২৩ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। দেনা পরিশোধের আগে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ডলার। এর আগেও আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের ডলারে নেমেছিল। তবে ওই সময়ে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ছিল। এবার তার চেয়ে বেশি নেমেছে।

গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে আকুর দেনা বাবদ ১২৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।

এদিকে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের প্রথমদিকে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। এটি পেলে রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশের রিজার্ভ আবার ১৮ বিলিয়ন ডলারে নামল

আপডেট সময় ০৯:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবার ১৮ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার মার্চ ও এপ্রিল মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বকেয়া দেনা বাবদ ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরই রিজার্ভ আবার কমে গেছে।

তবে আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ যেখানে নামছে, ওই অঙ্কে সহসা ফিরছে না। ফলে গড়ে রিজার্ভের পরিমাণ ক্রমেই নিুম্নখী। তবে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের শুরুতে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। তখন রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।

সূত্র জানায়, আকুর সঙ্গে এর সদস্য নয়টি দেশ দুই মাসের বাকিতে পণ্য আমদানি রপ্তানি করতে পারে। দুই মাস পর পরবর্তী মাসের প্রথম ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেনা পাওনা সমন্বয় করতে হয়। সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, ইরান, মিয়ানমার ও মালদ্বীপ। এর মধ্যে বাংলাদেশ আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে বেশি আমদানি করে, রপ্তানি করে কম। যে কারণে প্রতি কিস্তিতেই বাংলাদেশ মোটা অঙ্কের আমদানির দেনা পরিশোধ করে। একসঙ্গে বড় অঙ্কের দেনা পরিশোধ করা হয় বলে রিজার্ভও কমে যায়।

গত মার্চ ও এপ্রিলের দেনা বাবদ গত বৃহস্পতিবার ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ওই অর্থ পরিশোধের পর নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৮২৩ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। দেনা পরিশোধের আগে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ডলার। এর আগেও আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের ডলারে নেমেছিল। তবে ওই সময়ে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ছিল। এবার তার চেয়ে বেশি নেমেছে।

গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে আকুর দেনা বাবদ ১২৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।

এদিকে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের প্রথমদিকে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। এটি পেলে রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।