কুমিল্লার এক সাংবাদিকের কন্যাকে অপহরণ করে ব্যাক ডেইট স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে কোর্ট অ্যাফিডেফিট ও ব্যাক ডেইটে কাজীর বালাম বইয়ে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দিয়ে সাংবাদিক কন্যা ও তার পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টার ঘটনায় সাংবাদিক বাবা মামলা করতে গেলে কেবলই একটি অভিযোগ গ্রহণ করেন থানার ওসি ফিরোজ হোসেন।
দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার ডেস্ক ইনর্চাজ, সাপ্তাহিক দেশপত্র পত্রিকার সিটি সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) জুয়েল খন্দকার জানান, তার সাথেও ওসির মারমুখী আচরণ ও মামলা নিতে দুই মাস অতিবাহিত করেও ৩ আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহিত দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি জানান, শুধুমাত্র সাংবাদিক নেতা শুধুমাত্র জুয়েল খন্দকার সাথেই নয়, কুমিল্লা সদর কোতয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন কর্তৃক আরও সাংবাদিকদের সাথে এমন মারমুখী আচরণ ও সাংবাদিকদের মামলা না নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে একাধিক।
তিনি জানান, অর্থ ছাড়া মামলা না নেওয়া, প্রথমে অভিযোগ নিয়ে ২/৩ মাস পরে না পারতে মামলা নেওয়াসহ নানান অভিযোগে অভিযুক্ত ওসি ফিরোজ হোসেন।
এবিষয়ে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিতও হয়েছে
মিডিয়া পাড়ায় বিতর্কিত এটা তার নতুন কোন কর্মকাণ্ড নয়, বরং এমন কর্মকাণ্ড পূর্বেও ঘটেছিল।
কুমিল্লা বড়ুড়া থানায়ও ওসি থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের সাথে মারমুখী আচরণ ও গ্যাং বাহিনীদেরকে শেল্টারসহ বড়ুড়ার গডফাদারদের শেল্টার দেওয়ার বিষয়ে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলে ওসি ফিরোজ হোসেন বহাল তবিয়তে আছেন। ঘুরে ফিরে সে কুমিল্লাতেই চাকরি বহাল রেখেই চলছে!
সর্বশেষ সাংবাদিক কন্যার অপহরণ মামলা নিয়ে গড়িমসি দুইমাস পর মামলা নিলেও ৭ জনের জায়গাতে ৩ জনের নামে মামলা নিতে নাটকীয়তা দেখালেন ওসি ফিরোজ। যেখানে মাননীয় আদালত অপহৃত সাংবাদিক কন্যার ২২ ধারা জবানবন্দিতে ৬ জনকে আসামী করেন, সেখানে অপহরণকারীদের নাম ঠিকানা সঠিক নেই বলে ২ জনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হলো কেন! এ প্রশ্ন সারাদেশের সাংবাদিক সমাজের।
তাহলে কি অপহরণকারীরা ভীনগ্রহের প্রাণী ছিল, যে কারণে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হলো? অবিলম্বে বিতর্কিত ওসির লাগাম টানার জন্যে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ।
অন্যদিকে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মামলা না নেওয়া-রফাদফা করানোর চেষ্টার ঘটনা সহ ভিকটিম সাংবাদিক পরিবার যাতে করে সঠিক বিচার পায় এবং উক্ত বিষয় সঠিক তদন্ত করে ওসি ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সারাদেশের সচেতনমহল সাংবাদিকরা।