ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

শহীদ মিনারে মানুষের ঢল, গার্ড অব অনার

কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানেই তাকে রাষ্ট্রীয় এই সম্মান জানানো হয়।

এসময় গাজী মাজহারুল আনেয়ারকে এক নজর দেখতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হাজির হন বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। তারমধ্যে ছিলেন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিৎ, মনির খান, নকীব খান, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, আসিফ ইকবাল, শেখ সাদী খান, মানাম আহমেদ, ইমন সাহা প্রমুখ। এছাড়া নায়ক উজ্জ্বলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অনেক সাধারণ মানুষও গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসেন। সরকার দলীয় সংগঠন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘গাজী ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল অন্যরকম। তার লেখা হাজার হাজার গানের মধ্যে ৬-৭ হাজার গান আমি নিজেই গেয়েছি। আমাদের মধ্যে একটা টিম ওয়ার্কিং ছিল। আমি তার জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ জায়গা কামনা করি।’

এদিকে জানা গেছে, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১২টায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ নেওয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর  তার মরদেহ নেওয়া হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হবে। সবশেষে গুলশানের আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চিত্রনাট্য রচনা করেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। তার মৃত্যুতে দেশের শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

শহীদ মিনারে মানুষের ঢল, গার্ড অব অনার

আপডেট সময় ০৯:২৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানেই তাকে রাষ্ট্রীয় এই সম্মান জানানো হয়।

এসময় গাজী মাজহারুল আনেয়ারকে এক নজর দেখতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হাজির হন বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। তারমধ্যে ছিলেন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিৎ, মনির খান, নকীব খান, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, আসিফ ইকবাল, শেখ সাদী খান, মানাম আহমেদ, ইমন সাহা প্রমুখ। এছাড়া নায়ক উজ্জ্বলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অনেক সাধারণ মানুষও গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসেন। সরকার দলীয় সংগঠন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘গাজী ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল অন্যরকম। তার লেখা হাজার হাজার গানের মধ্যে ৬-৭ হাজার গান আমি নিজেই গেয়েছি। আমাদের মধ্যে একটা টিম ওয়ার্কিং ছিল। আমি তার জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ জায়গা কামনা করি।’

এদিকে জানা গেছে, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১২টায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ নেওয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর  তার মরদেহ নেওয়া হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হবে। সবশেষে গুলশানের আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চিত্রনাট্য রচনা করেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। তার মৃত্যুতে দেশের শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।